পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩০
বাঙ্গালার ইতিহাস।

পৌত্র তৃতীয় ইন্দ্র উত্তরাপথ আক্রমণ করিয়া গুর্জ্জর-রাজধানী কান্যকুব্জ ধ্বংস করিয়াছিলেন[১]। তৃতীয় ইন্দ্রের নরসিংহ নামধেয় জনৈক সামন্ত যমুনা পার হইয়া পলায়নপর মহীপালের অনুসরণ করিতে করিতে সাগর-সঙ্গমে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং গঙ্গাসাগর-সঙ্গমে তাঁহার অশ্বকে স্নান করাইয়াছিলেন।[২]

 রাজ্যপালদেবের মৃত্যুর পরে, তৎপুত্র দ্বিতীয় গোপাল গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় গোপালদেব যখন গৌড়েশ্বর, তখন মহীপালদেব গুর্জ্জর-সাম্রাজ্যের অধিপতি। রাষ্ট্রকূট-বংশীয় তৃতীয় ইন্দ্র যখন উত্তরাপথ আক্রমণ করিয়াছিলেন, সেই সময়ে বোধ হয়, গোপালদের অপহৃত পিতৃরাজ্যের কিয়দংশ উদ্ধার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন; কারণ মগধে তাঁহার রাজ্যকালে প্রতিষ্ঠিত দুইটি মূর্ত্তি ও তাঁহার রাজ্যকালে মগধে লিখিত একখানি বৌদ্ধগ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। দ্বিতীয় গোপালদেবের প্রথম রাজ্যাঙ্কে নালন্দ নগরে একটি বাগেশ্বরী মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[৩]। তাঁহার রাজ্যকালে কোন সময়ে শক্রসেন নামক এক ব্যক্তি বুদ্ধগয়ায় একটি বুদ্ধ-প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এই মূর্ত্তির পাদপীঠমাত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে[৪]

  1. যম্মাদ্যদ্দ্বিপদন্তঘাতবিষমং কালপ্রিয়প্রাঙ্গণং
    তীর্ণ্ণা যত্তুরগৈরগাধযমুনা সিন্ধুপ্রতিস্পর্দ্ধিনী।
    যেনেদং হি মহোদয়ারিনগরং নির্ম্মূলমুন্মূলিতং
    নাম্নাদ্যাপি জনৈঃ কুশস্থলমিতি খ্যাতিং পরাং নীয়তে॥ ১৯
     —কম্বায় নগরে আবিষ্কৃত চতুর্থ গোবিন্দের তাম্রশাসন।
     Epigraphia Indica, Vol. VII, p. 38.

  2. কাণাডা ভাষায় পম্পরাজ-রচিত ‘কর্ণাটকশব্দানুশাসন’ (Edited by Lewis Rice) পৃঃ ২৬।
  3. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৮৭।
  4. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৮৯।