পৌত্র তৃতীয় ইন্দ্র উত্তরাপথ আক্রমণ করিয়া গুর্জ্জর-রাজধানী কান্যকুব্জ ধ্বংস করিয়াছিলেন[১]। তৃতীয় ইন্দ্রের নরসিংহ নামধেয় জনৈক সামন্ত যমুনা পার হইয়া পলায়নপর মহীপালের অনুসরণ করিতে করিতে সাগর-সঙ্গমে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং গঙ্গাসাগর-সঙ্গমে তাঁহার অশ্বকে স্নান করাইয়াছিলেন।[২]।
রাজ্যপালদেবের মৃত্যুর পরে, তৎপুত্র দ্বিতীয় গোপাল গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় গোপালদেব যখন গৌড়েশ্বর, তখন মহীপালদেব গুর্জ্জর-সাম্রাজ্যের অধিপতি। রাষ্ট্রকূট-বংশীয় তৃতীয় ইন্দ্র যখন উত্তরাপথ আক্রমণ করিয়াছিলেন, সেই সময়ে বোধ হয়, গোপালদের অপহৃত পিতৃরাজ্যের কিয়দংশ উদ্ধার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন; কারণ মগধে তাঁহার রাজ্যকালে প্রতিষ্ঠিত দুইটি মূর্ত্তি ও তাঁহার রাজ্যকালে মগধে লিখিত একখানি বৌদ্ধগ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। দ্বিতীয় গোপালদেবের প্রথম রাজ্যাঙ্কে নালন্দ নগরে একটি বাগেশ্বরী মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[৩]। তাঁহার রাজ্যকালে কোন সময়ে শক্রসেন নামক এক ব্যক্তি বুদ্ধগয়ায় একটি বুদ্ধ-প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এই মূর্ত্তির পাদপীঠমাত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে[৪]।
- ↑
যম্মাদ্যদ্দ্বিপদন্তঘাতবিষমং কালপ্রিয়প্রাঙ্গণং
তীর্ণ্ণা যত্তুরগৈরগাধযমুনা সিন্ধুপ্রতিস্পর্দ্ধিনী।
যেনেদং হি মহোদয়ারিনগরং নির্ম্মূলমুন্মূলিতং
নাম্নাদ্যাপি জনৈঃ কুশস্থলমিতি খ্যাতিং পরাং নীয়তে॥ ১৯
—কম্বায় নগরে আবিষ্কৃত চতুর্থ গোবিন্দের তাম্রশাসন।
Epigraphia Indica, Vol. VII, p. 38. - ↑ কাণাডা ভাষায় পম্পরাজ-রচিত ‘কর্ণাটকশব্দানুশাসন’ (Edited by Lewis Rice) পৃঃ ২৬।
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৮৭।
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৮৯।