হরিকেল পূর্ব্ববঙ্গের প্রাচীন নাম। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ ভাগে চীন দেশীয় পরিব্রাজক ই-চিং হরিকেল দেশে এক বৎসর অবস্থান করিয়াছিলেন[১]। তিনি লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে, হরিকেল পূর্ব্ব ভারতের পূর্ব্ব সীমায় অবস্থিত। হরিকেল একটি প্রসিদ্ধ বৌদ্ধতীর্থ ছিল। হরিকেলের শিললোকনাথ খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতেও এতদূর প্রতিপত্তিশালী ছিলেন যে, বহু বৌদ্ধ গ্রন্থে তাঁহার চিত্র অঙ্কিত থাকিত। ফরাসী পণ্ডিত ফুসে এইরূপ একখানি চিত্রের বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন[২]। চন্দ্রদ্বীপ সরকার বাকলার প্রাচীন নাম[৩]। পূর্ব্বে বঙ্গদেশের ঐতিহাসিকগণ মনে করিতেন যে, চন্দ্রদ্বীপের পঞ্চদশ শতাব্দীর রাজা দনুজমর্দ্দনের গুরুর নামানুসারে চন্দ্রদ্বীপের নামকরণ হইয়াছে[৪]। শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়া এই কুলশাস্ত্রমূলক ভ্রান্ত বিশ্বাস দূরীভূত হইয়াছে। চন্দ্রদ্বীপও একটি প্রাচীন বৌদ্ধতীর্থ। অধ্যাপক ফুসে চন্দ্রদ্বীপের প্রাচীন বৌদ্ধদেবতা ভগবতীতারার চিত্র প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থে আবিষ্কার করিয়াছেন[৫]।