বুঝায়। ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে স্বর্গীয় অধ্যাপক কিলহর্ণ[১] ও ১৩১৯ বঙ্গাব্দে শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়[২] এই অর্থই গ্রহণ করিয়াছেন। কেবল শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় এই তাম্রশাসন ব্যাখ্যাকালে উক্ত পদের বিশ্লেষণ করিয়া পরিত্যাগ করিয়াছেন[৩]; অন্তর্নিহিত ঐতিহাসিক তথ্যানুসন্ধানের চেষ্টা করেন নাই। বাণগড়ের তাম্রশাসনে প্রথম মহীপালদেবের পরিচয়জ্ঞাপক দুইটি শ্লোক আছে। “সূর্য্যদেব হইতে যেমন কিরণ-কোটিবর্ষী চন্দ্রদেব উৎপন্ন হইয়াছেন, তাহা হইতেও সেইরূপ রত্নকোটিবর্ষী বিগ্রহপালদেব জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। নয়নানন্দদায়ক সুবিমল কলাময় সেই রাজকুমারের উদয়ে ত্রিভুবনে সন্তাপ বিদূরিত হইয়া গিয়াছিল। তদীয় অভ্রতুল্য সেনা-গজেন্দ্রগণ (প্রথমে) জলপ্রচুর পূর্ব্বাঞ্চলে স্বচ্ছ সলিল পান করিয়া, তাহার পর (তদনু) মলয়োপত্যকার চন্দন-বনে যথেচ্ছ বিচরণ করিয়া, ঘনীভূত-শীতল-শীকরোৎক্ষেপে তরুসমূহের জড়তা সম্পাদন করিয়া হিমালয়ের কটকদেশ উপভোগ করিয়াছিল[৪]।” এই শ্লোকদ্বয় ব্যাখ্যাকালে শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় বলিয়াছেন, “মহীপালদেবের পিতার কোনরূপ বীরকীর্ত্তির
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, 1892, pt. I, p. 81.
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১০০, পাদটীকা।
- ↑ বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, ৫ম ভাগ, পৃঃ ১৩৯ ও বিশ্বকোষ, “মহীপাল” শব্দ।
- ↑
তস্মাদ্বভূব সবিতুর্ব্বসুকোটিবর্ষী কালেন চন্দ্র ইব বিগ্রহপালদেবঃ।
নেত্রপ্রিয়েণ বিমলেন কলাময়েন যেনোদিতেন দলিতো ভুবনস্য তাপঃ॥ ১০
দেশে প্রাচি প্রচুর-পয়সি স্বচ্ছমাপীয় তোয়ং স্বৈরং ভ্রান্ত্বা তদনুমলয়োপত্যকা-চন্দনেষু।
কৃত্বা সান্দ্রৈস্তরুষু জড়তাং শীকরৈরভ্রতুল্যাঃ প্রালেয়াদ্রেঃ কটকমভজন্ যস্য সেনা-গজেন্দ্রাঃ॥ ১১
—গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৯৫।