এই শিলালিপি ১১৭৩ বিক্রমাব্দে (১১১৬ খৃষ্টাব্দে) জয়বর্ম্মদেবের আদেশে পুনরুৎকীর্ণ হইয়াছিল[১]। দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজ্যের শেষভাগে অথবা প্রথম মহীপালের রাজ্যারম্ভকালে রাঢ় ও অঙ্গ ধঙ্গদেব কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল বলিয়া অনুমান হয়। ধঙ্গদেব মহোবায় প্রত্যাবর্ত্তন করিলে বোধ হয় মহীপালদেব পিতৃরাজ্য উদ্ধার-সাধনে যত্নবান্ হইয়াছিলেন। পূর্ব্বে কথিত হইয়াছে যে, মহীপালদেবের রাজ্যারম্ভের পূর্ব্বে বরেন্দ্রী বা উত্তর-বঙ্গ কাম্বোজ জাতি কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল। গৌড়ে কাম্বোজাধিকারের একটিমাত্র নিদর্শন অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হইয়াছে। দিনাজপুর জেলায় বাণগড় নামক স্থানে বিস্তৃত ধ্বংসাবশেষ মধ্যে একটি বৃহৎ কৃষ্ণবর্ণ শিলানির্ম্মিত সুচারু-কারু-কার্য্য-শোভিত স্তম্ভ আবিষ্কৃত হইয়াছিল। দিনাজপুরের স্বর্গীয় মহারাজা স্যর গিরিজানাথ রায়ের কোন পূর্ব্বপুরুষ ইহা বাণগড় হইতে আনয়ন করিয়া স্বীয় প্রাসাদে স্থাপন করিয়াছিলেন। তদবধি ইহা দিনাজপুর-রাজবাটীর প্রাঙ্গণে স্থাপিত আছে। এই স্তম্ভের মূলদেশে তিনছত্র একটি শিলালিপি আছে। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে স্বর্গীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র বাহাদুর এই শিলালিপির অনুবাদ করিয়াছিলেন, দিনাজপুরের তৎকালীন কালেক্টর ওয়েষ্টমেকট এই অনুবাদ অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করিয়াছিলেন। প্রবন্ধ অনুবাদ ও স্যর রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকরের প্রতিবাদ একত্র প্রকাশিত হইয়াছিল[২]। মিত্রজ মহাশয় প্রতিবাদের উত্তর দিয়াছিলেন[৩];
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪২
বাঙ্গালার ইতিহাস।