পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ।
২৪৩

এবং শ্রীযুক্ত ভাণ্ডারকর উত্তরের প্রত্যুত্তর প্রকাশ করিয়াছিলেন[১]। তাহার পরে প্রত্নতত্ত্ববিদ্‌গণ এই শিলালিপির কথা বিস্মৃত হইয়াছিলেন। স্বর্গীয় ডাক্তার কিলহর্ণ বিরচিত উত্তরাপথের খোদিত-লিপিমালায় এই শিলালিপির উল্লেখ নাই[২]। স্বর্গীয় ডাক্তার ব্লক্ এই শিলালিপিতে “গৌড়পতি” স্থানে “সীদুপতি” পাঠ করায় ব্যাখ্যা-বিভ্রাট হইয়াছিল[৩]। ১৯১১ খৃষ্টাব্দে শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ এই শিলালিপির প্রতিলিপি সংগ্রহ করিয়া এসিয়াটিক সোসাইটীর পত্রিকায় প্রকাশ করিয়াছিলেন[৪]। শিলালিপির শেষ পঙ্ক্তির “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” শব্দের অর্থ লইয়া পণ্ডিতগণের মধ্যে মতদ্বৈধ আছে। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র, শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ ও শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু[৫] “কুঞ্জর ঘটাবর্ষেণ” শব্দের, ৮৮৮ অর্থ করিয়াছেন, কিন্তু স্যর রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর ও মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী[৬] এই অর্থ স্বীকার করেন না। নূতন আবিষ্কার না হইলে এই বিরোধের মীমাংসা হওয়া অসম্ভব। “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” শব্দের অর্থ যদি ৮৮৮ হয়, তাহা হইলে ইহা শকাব্দের তারিখ এবং কাম্বোজবংশজাত গৌড়েশ্বরের শিবমন্দির, ৮৮৮ শকাব্দে, অর্থাৎ—৯৬৬ খৃষ্টাব্দে নির্ম্মিত হইয়াছিল। “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” শব্দে যদি ৮৮৮ না বুঝায়, তাহা হইলেও এই শিলালিপির ঐতিহাসিক তথ্যনির্ণয়ের

  1. Ibid, p. 227.
  2. Epigraphia Indica, Vol. V, app. pp. 1-96.
  3. Annual Report, Archaeological Survey, Bengal Circle, 1900-01, p. vii.
  4. Journal & Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, New series, Vol. VII, p. 619.
  5. বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (রাজন্যকাণ্ড), পৃঃ ১৭০।
  6. মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন যে, ‘কুঞ্জরঘটা’ শব্দের অর্থ অন্যরূপ।