পঞ্চম রাজ্যাঙ্কে একখানি অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা গ্রন্থ লিখিত হইয়াছিল। ইহা এখন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে। এই গ্রন্থের পুষ্পিকায় লিখিত আছে;—
“পরমেশ্বরপরমভট্টারকপরমসৌগতশ্রীমন্মহীপালদেবপ্রবর্দ্ধমান বিজয়রাজ্যে সম্বৎ ৫ অশ্বিনি কৃষ্ণে[১]।”
মহীপালদেবের ষষ্ঠ রাজ্যাঙ্কে তাড়িবাড়ি মহাবিহারবাসী শাক্যাচার্য্য স্থবির সাধুগুপ্তের ব্যয়ে নালন্দবাসী কল্যাণমিত্র চিন্তামণি একখানি অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা গ্রন্থের অনুলিপি প্রস্তুত করিয়াছিলেন। মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালে এই গ্রন্থখানি আবিষ্কার করিয়া কলিকাতার এসিয়াটীক সোসাইটীতে আনয়ন করিয়াছেন। ইহার পুষ্পিকায় লিখিত আছে;—
“দেয়ধর্ম্মেয়ং প্রবরমহাযানযায়িনঃ তাড়িবাড়িমহাবিহারীয় আবস্থিতেন শাক্যাচার্য্যস্থবির সাধুগুপ্তস্য যদত্র পুণ্যন্তদ্ভবত্যাচার্য্যোপাধ্যায়মাতাপিতৃপুরঙ্গমং কৃত্বা সকলসত্ত্বরাশেরনুত্তরজ্ঞানফলাবাপ্তয় ইতি। পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজপরমেশ্বরপরমসৌগত শ্রীমদ্বিগ্রহপালদেবপাদানুধ্যাত পরমভট্টারকমহারাজাধিরাজপরমেশ্বরপরমসৌগত শ্রীমন্মীহীপালদেবপ্রবর্দ্ধমানকল্যাণবিজয়রাজ্যে ষষ্ঠ সম্বৎসরে অভিলিখ্যমানে যত্রাঙ্কে সম্বৎ ৬ কার্ত্তিককৃষ্ণত্রয়োদশ্যান্তিথৌ মঙ্গলবারেণ ভট্টারিকা নিষ্পাদিতমিতি॥ শ্রীনালন্দাবস্থিতকল্যাণমিত্রচিন্তামণিকস্য লিখিত ইতি[২]।”
বুদ্ধগয়ায় মহাবোধিমন্দির প্রাঙ্গণে একটি আধুনিক মন্দিরে কয়েকটি বৌদ্ধমূর্ত্তি পঞ্চপাণ্ডবের মূর্ত্তিরূপে পূজিত হইতেছে। ইহার মধ্যে একটি বুদ্ধমূর্ত্তি মহীপালদেবের একাদশ রাজ্যাঙ্কে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। স্যর