আলেকজাণ্ডার কনিংহাম্ এই মূর্ত্তির পাদপীঠের খোদিতলিপির তারিখের প্রথম অক্ষর দুইটি পাঠ করিতে না পারিয়া ইহাকে মহীপালের দশম রাজ্যাঙ্কে প্রতিষ্ঠিত মূর্ত্তি বলিয়া গিয়াছেন[১]। এই মূর্ত্তির পাদপীঠস্থ খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, মহারাজাধিরাজ পরমেশ্বরপরমভট্টারক শ্রীমন্মহীপালদেবের প্রবর্দ্ধমান বিজয়রাজ্যের একাদশ সম্বৎসরে গন্ধকূটীদ্বয়ের সহিত এই বুদ্ধমূর্ত্তিটি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[২]। মহীপালদেবের একাদশ রাজ্যাঙ্কে তৈলাঢকবাসী বালাদিত্য নামক জনৈক ব্যক্তি নালন্দ মহাবিহারের জীর্ণ সংস্কার করিয়াছিলেন। নালন্দ মহাবিহারের প্রস্তরনির্ম্মিত দ্বারে উৎকীর্ণ শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া ষায় যে, মহাবিহার অগ্নিদাহে ধ্বংস হইলে কৌশাম্বীবিনির্গত হরদত্তের নপ্তা, গুরুদত্তের পুত্র, তৈলাঢকনিবাসী জ্যাবিষ বালাদিত্য কর্ত্তৃক পুনঃ সংস্কৃত হইয়াছিল[৩]। মহীপালদেবের নবম রাজ্যাঙ্কে পৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তঃপাতী কোটিবর্ষবিষয়ে গোকলিকামণ্ডলে চূটপল্লিকাবর্জ্জিত কুরটপল্লিকা গ্রাম মহাবিষুব সংক্রান্তিতে বুদ্ধ ভট্টারকের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণাদিত্যদেবশর্ম্মাকে প্রদত্ত হইয়াছিল[৪]।
প্রথম মহীপালদেবের রাজ্যকালে গৌড়রাজ্য বারত্রয় বহিঃশত্রু কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল। প্রথমে চোল-রাজ প্রথম রাজেন্দ্রচোল, কল্যাণের চালুক্য-রাজ দ্বিতীয় জয়সিংহ ও পরে চেদি, কলচুরি বা হৈহয়-বংশীয় গাঙ্গেয়দেব পাল-সাম্রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। চোলরাজ