রাজেন্দ্রচোল ১০১২ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। তাঁহার নবম রাজ্যাঙ্কে উৎকীর্ণ মেলপাডি-শিলালিপিতে তাঁহার উত্তরাপথবিজয়ের বর্ণনা নাই[১], কিন্তু তাঁহার ত্রয়োদশ রাজ্যাঙ্কে উৎকীর্ণ তিরুমলৈ-শিলালিপিতে রাজেন্দ্রচোলদেবের উত্তরাপথাভিযানের নিম্নলিখিত বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়[২]:—
“পরকেশরীবর্ম্মা বা শ্রীরাজেন্দ্রচোলদেবের (রাজত্বের) ত্রয়োদশ বৎসরে—যিনি......তাঁহার মহান্ সমরপটু সেনাদ্বারা (নিম্নোক্ত দেশসকল) অধিকার করিয়াছেন—দুর্গম ওড্ড-বিষয়, (যাহা তিনি) প্রবল যুদ্ধে (পদানত করিয়াছিলেন); মনোরম কোশলনাডু, যেখানে ব্রাহ্মণগণ মিলিত হইয়াছিল। মধুকর-নিকর-পরিপূর্ণ-উদ্যান-বিশিষ্ট তন্দবুত্তি, ভীষণ যুদ্ধে ধর্ম্মপালকে নিহত করিয়া তিনি যে দেশ অধিকার করিয়াছিলেন; সকল দিকে প্রসিদ্ধ তক্কণলাড়ম্, সবেগে রণশূরকে আক্রমণ করিয়া তিনি যে দেশ অধিকার করিয়াছিলেন; বাঙ্গালাদেশ, যেখানে ঝড় বৃষ্টির কখনও বিরাম নাই, এবং গজ-পৃষ্ঠ হইতে নামিয়া যেখান হইতে গোবিন্দচন্দ্র পলায়ন করিয়াছিলেন; কর্ণভূষণ, চর্ম্মপাদুকা এবং বলয়বিভূষিত মহীপালকে ভীষণ সমরক্ষেত্র হইতে পলায়ন করিতে বাধ্য করিয়া যিনি তাঁহার অদ্ভুত বলশালী করিসমূহ এবং রত্নোপমা রমণীগণকে হস্তগত করিয়াছিলেন; সাগরের ন্যায় রত্নসম্পন্ন উত্তিরলাড়ম্; বালুকাময় তীর্থ-ধৌতকারিণী গঙ্গা[৩]।” তিরুমলৈ-শিলালিপি অনুসারে রাজেন্দ্রচোল তাঁহার দ্বাদশ রাজ্যাঙ্কের পূর্ব্বে এই সকল দেশ হস্তগত করিয়াছিলেন। ‘ওড্ড-বিষয়’ বর্ত্তমান উড়িষ্যা, বহু তাম্রশাসনে ইহা