‘ওড্র-বিষয়’ নামে উল্লিখিত হইয়াছে। ‘কোশলৈনাডু’ কলিঙ্গের নিকটে অবস্থিত দক্ষিণ-কোশল বা মহাকোশল, বর্ত্তমান বিলাসপুর প্রভৃতি উড়িষ্যার পশ্চিমস্থিত প্রদেশগুলির প্রাচীন নাম। তন্দবুত্তি বা দণ্ডভুক্তি বর্ত্তমান মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণাংশের নাম। সম্ভবতঃ বর্ত্তমান দাঁতন গ্রামই প্রাচীন দণ্ডভুক্তি। মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন, দণ্ডভুক্তির বর্ত্তমান নাম বিহার[১]। কারণ, তিব্বতীয় ইতিহাসে ‘বিহার’ ওতন্তপুর বা ওতন্তপুরী নামে উল্লিখিত হইয়াছে[২]। ওতন্তপুর সংস্কৃত উদ্দণ্ডপুরের অপভ্রংশ এবং উদ্দণ্ডপুর, বিহার নগরের প্রাচীন নাম,—বিহারের আবিষ্কৃত বহু খোদিতলিপি হইতে ইহা প্রমাণ হইয়াছে। সুতরাং বিহার কখনই দণ্ডভুক্তি হইতে পারে না। দণ্ডভুক্তি কোশল দেশের পরে ও দক্ষিণ-রাঢ়ের পূর্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে; সুতরাং ইহা মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত কোনও স্থান হওয়াই সম্ভব। দণ্ডভুক্তির সহিত দাঁতনের সম্পর্ক আমি, ১৯১১ খৃষ্টাব্দে লিখিত “Palas of Bengal” প্রবন্ধে নির্ণয় করিয়াছিলাম। আমার প্রবন্ধ পাঠের পরে ইহা বসুজ মহাশয়ের গ্রন্থমধ্যে স্থান লাভ করিয়াছে[৩]। রাজেন্দ্রচোল ভীষণ যুদ্ধে ধর্ম্মপালকে ধ্বংস করিয়া দক্ষিণ-রাঢ়ে আসিয়াছিলেন। দণ্ডভুক্তির অধিপতি ধর্ম্মপাল কে, তাহা অদ্যাবধি নির্ণীত হয় নাই। তাঁহার সহিত পাল-রাজবংশের সম্পর্কজ্ঞাপক কোন প্রমাণ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু এই ধর্ম্মপালকে মহীপালের ‘কোন আত্মীয়’
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।