প্রস্তরনির্ম্মিত কুঠারফলক (Boucher or celt) আবিষ্কার করিয়াছিলেন। এই সময়ে রাণীগঞ্জের নিকট বোখারোর কয়লার খনিতে এই জাতীয় আর একটি কুঠারফলক আবিষ্কৃত হইয়াছিল[১]। ইহার দুই বৎসর পরে সীতারামপুরের নিকটবর্ত্তী ঝরিয়ার কয়লার খনিতে আর একটি কুঠারফলক আবিষ্কৃত হইয়াছিল, ইহাই এখন কলিকাতা মিউজিয়ামে দেখিতে পাওয়া যায়[২]। পূর্ব্বোক্ত অস্ত্রদ্বয় বোধ হয় ইংলণ্ডে প্রেরিত হইয়াছে। প্রত্ন-প্রস্তরযুগের এই তিনটি প্রহরণ ব্যতীত উত্তরাপথের পূর্ব্বখণ্ডে আর চারিটি মাত্র শিলানির্ম্মিত প্রাচীন অস্ত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই চারিটি অস্ত্র উড়িষ্যা-প্রদেশের ঢেঁকানাল, আঙ্গুল, তালচের ও সম্বলপুরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। সুবিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ্ পণ্ডিত ভিন্সেণ্ট্ বল্ মাদ্রাজে আবিষ্কৃত প্রত্ন-প্রস্তরযুগের অস্ত্রসমূহের সহিত বঙ্গদেশের ও উড়িষ্যার এই যুগের নিদর্শনসমূহের তুলনা করিয়া দেখাইয়াছেন যে, এই উভয় প্রদেশের প্রাচীন শিলানির্ম্মিত প্রহরণের মধ্যে বিশেষ সাদৃশ্য আছে। ইহা হইতে তিনি অনুমান করেন যে, দক্ষিণপথবাসী আদিম মানবগণের সহিত উত্তরাপথবাসী প্রাচীন মানবজাতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মাদ্রাজে ও বাঙ্গালায় আবিষ্কৃত প্রত্ন-প্রস্তরযুগের অস্ত্রসমূহের সাদৃশ্য কেবল আকারগত নহে, অনেক সময়ে উভয় দেশে আবিষ্কৃত অস্ত্রের পাষাণ একই জাতীয়। যে স্থানে এই জাতীয় প্রস্তর পাওয়া যায়, সে স্থান বাঙ্গালাদেশ হইতে শত শত ক্রোশ দূরে অবস্থিত। ভিন্সেণ্ট্ বল্ অনুমান করেন যে