হইতে ফিরিয়া আসিয়া উত্তর-রাঢ়ের মহীপালকে পরাজিত করিয়াছিলেন। দক্ষিণ-রাঢ় ও উত্তর-রাঢ় তিরুমলৈ-শিলালিপিতে ‘তক্কণলাডং’ ও উত্তিরলাডং’ রূপে উল্লিখিত হইয়াছে। স্বর্গীয় ডাঃ কিলহর্ণ এই নামদ্বয় ‘উত্তর-লাট’, অর্থাৎ—উত্তর-গুজরাট এবং ‘দক্ষিণ-লাট’, অর্থাৎ—দক্ষিণ-গুজরাট মনে করিয়াছিলেন[১]। তিরুমলৈ-শিলালিপি পুনঃ সম্পাদন কালে ডাক্তার হুলজ্ ও স্বর্গগত পণ্ডিত বেঙ্কয় স্থির করিয়াছিলেন যে, পূর্ব্বোক্ত শব্দদ্বয়দ্বারা উত্তর-বিরাট ও দক্ষিণ-বিরাট সূচিত হইতেছে[২]। স্বর্গগত পণ্ডিত বেঙ্কয় বলিয়াছিলেন যে, “ইলাড” শব্দদ্বারা সংস্কৃত “বিরাট” বুঝাইতে পারে, “লাট” বুঝায় না[৩]। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ[৪] ও শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু বলেন[৫], “তক্কণলাডম্” ও “উত্তিরলাডম্” শব্দদ্বয়দ্বারা দক্ষিণ-রাঢ় ও উত্তর-রাঢ় সূচিত হইতেছে, কিন্তু তাঁহাদিগের মধ্যে কেহই এই প্রদেশদ্বয়ের অবস্থান নির্ণয়ের কারণ নির্দ্দেশ করা আবশ্যক মনে করেন নাই। কোশল বা দণ্ডভুক্তি জয় করিয়া দক্ষিণ-লাট বা দক্ষিণ-বিরাটে যুদ্ধযাত্রা করা, দক্ষিণ-লাট বা দক্ষিণ-বিরাট হইতে যুদ্ধার্থ বঙ্গদেশে আগমন, বঙ্গদেশ হইতে উত্তর-লাট বা উত্তর-বিরাট জয়ার্থ গমন এবং উত্তর-লাট বা উত্তর-বিরাট হইতে গঙ্গাতীরে প্রত্যাবর্ত্তন অসম্ভব; সুতরাং শব্দগত সাদৃশ্য অনুসারে “দক্ষিণলাডম্” “দক্ষিণ-রাঢ়” এবং “উত্তিরলাডম্” “উত্তর-রাঢ়” রূপে গ্রহণ করাই সুসঙ্গত। রাজেন্দ্রচোল গঙ্গাতীর হইতে স্বদেশে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছিলেন
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫০
বাঙ্গালার ইতিহাস।