রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। কর্ণদেব পরাজিত হইয়া তাঁহার যৌবনশ্রী নাম্নী কন্যার সহিত বিগ্রহপালদেবের বিবাহ দিয়াছিলেন[১]। চালুক্যরাজ আর্য্যাবর্ত্তের পূর্ব্বার্দ্ধ বিজয় করিয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়াছিলেন। এই সময়ে উত্তরবঙ্গে কৈবর্ত্ত জাতি বিদ্রোহী হইয়াছিল এবং তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের রাজত্বের শেষভাগ বিদ্রোহদমনে অতিবাহিত হইয়াছিল। তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের একখানি তাম্রশাসন ও একটি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। তাম্রশাসনখানি বিগ্রহপালদেবের দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ রাজ্যাঙ্কে সম্পাদিত হইয়াছিল এবং এতদ্দ্বারা বিগ্রহপালদেব পৌণ্ড্রবর্দ্ধন-ভুক্তির কোটিবর্ষ-বিষয়ে অবস্থিত ব্রাহ্মণী গ্রামে খোদ্ধোতদেবশর্ম্মা নামক জনৈক ব্রাহ্মণকে প্রদান করিয়াছিলেন[২]। শিলালিপিখানি গয়ায় অক্ষয়-বটের পাদমূলে সংলগ্ন আছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, বিগ্রহপালদেবের পঞ্চম রাজ্যাঙ্কে বিশ্বাদিত্য গয়া নগরে বটেশ ও প্রপিতামহেশ্বর নামক শিবলিঙ্গদ্বয় স্থাপন করিয়া দুইটি মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেনে[৩]।
বিগ্রহপালদেবের ত্রয়োদশ রাজ্যাঙ্কে সুবর্ণকার সাহের পুত্র দেহেক একটি বুদ্ধমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[৪]। এই মূর্ত্তিটি বিহার নগরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল এবং ইহা এক্ষণে কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত
- ↑ যো বিগ্রহপালো যৌবনশ্রিয়া কর্ণস্য রাজ্ঞঃ সুতয়া সহ ক্ষৌণীমুদূঢ়বান্। সহসা বলেনাবিতো রক্ষিতো রণজিতঃ সংগ্রামজিতঃ কর্ণো দাহলাধিপতির্যেন। রণজিৎ এব পরন্তু রক্ষিতো ন উন্মূলিতঃ।
—রামচরিত, ১।৯ টীকা; Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. III, p. 22. - ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১২২; Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V, p. 80. Epigraphia Indica, Vol. XV, pp. 293-301.
- ↑ Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V, pp. 81-82.
- ↑ Ibid, p. 112.