পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।

খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন[১]। মহারাজাধিরাজ ধর্ম্মপালদেব চক্রয়ুধকে কান্যকুব্জের সিংহাসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করণোদ্দেশ্যে বোধ হয়, এই সিংহপুরের যাদব-রাজকে পরাজিত করিয়াছিলেন। রাজেন্দ্রচোল, দ্বিতীয় জয়সিংহ, অথবা গাঙ্গেয়দেবের সহিত এই যাদব-বংশজাত বজ্রবর্ম্মা নামক জনৈক সেনাপতি উত্তরাপথের পশ্চিমার্দ্ধ হইতে পূর্বার্দ্ধে আসিয়া একটি নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। ঢাকা জেলায় বেলাব গ্রামে আবিষ্কৃত বজ্রবর্ম্মার প্রপৌত্র ভোজবর্ম্মদেবের তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, যাদব-সেনার সমর-বিজয়-যাত্রাকালে বজব্রর্ম্মা মঙ্গলস্বরূপ গণ্য হইতেন[২]। কোন্ সময়ে কিরূপে বঙ্গের পালবংশের অধিকার লুপ্ত হইয়াছিল, তাহা অবগত হইবার কোন উপায় অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই।

 বজ্রবর্ম্মা বোধ হয়, কেবল হরিকেল বা চন্দ্রদ্বীপ অধিকার করিয়া নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন, তৎপুত্র জাতবর্ম্মা বঙ্গে যাদব-প্রতিভার প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। জাতবর্ম্মা কর্ণদেব ও তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের সমসাময়িক ব্যক্তি। তিনি কর্ণের কন্যা বীরশ্রীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। ভোজবর্ম্মদেবের তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে,

  1. Epigraphia Indica, Vol. I, pp. 12-14.
  2. অভবদথ কদাচিদ্‌যাদবীনাং চমূনাং
    সমরবিজয়যাত্রামঙ্গলং বজ্রবর্ম্মা।
    শমন ইব রিপূণাং সোমবদ্বান্ধবানাং
    কবিরপি চ কবীনাং পণ্ডিতঃ পণ্ডিতানাং॥
    —বেলাব গ্রামে আবিষ্কৃত ভোজবর্ম্মার তাম্রশাসন; সাহিত্য, ১৩১৯, পৃঃ ৩৮২;
    Journal and Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, Vol. X, p. 126;
    Epigraphia Indica, Vol. XII, pp. 39-41.