প্রকাশ করিয়াছেন[১]। ভিন্সেণ্ট্ বল্ ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে, সিংহভূম জেলার ধলভূম পরগণায়, এই জাতীয় কুঠারফলক আবিষ্কার করিয়াছিলেন[২]। সম্প্রতি শ্রীযুক্ত কগিন্ ব্রাউন আসামে এক নূতন ধরণের বুষলের (Grooved hammer) বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন[৩]।
নব্য-প্রস্তরের যুগে আদিম মানবগণ ধাতুর ব্যবহার জানিতেন না। ধাতু আবিষ্কৃত হইলে, মানবগণ যখন জানিতে পারিলেন যে, ধাতুর অস্ত্র পাষাণনির্ম্মিত অস্ত্রাপেক্ষা তীক্ষ্ণধার, তখন তাঁহারা ক্রমশঃ শিলানির্ম্মিত আয়ুধ পরিত্যাগ করিয়া ধাতুনির্ম্মিত অস্ত্র ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিলেন। সুধীগণ অনুমান করেন যে, আদিম মানবগণ সুবর্ণের সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হইয়া সর্ব্বপ্রথমে এই ধাতু সংগ্রহ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। সুবর্ণের পরে তাম্র আবিষ্কৃত হইয়াছিল। মানবজাতির সর্ব্বপ্রাচীন ধাতব অস্ত্রসমূহ তাম্রনির্ম্মিত। তাম্রনির্ম্মিত অস্ত্রশস্ত্র তীক্ষ্ণধার, কিন্তু সুকঠিন নহে। টিন আবিষ্কৃত হইবার পরে, তাম্রনির্ম্মিত দ্রব্যাদি কঠিন করিবার জন্য নয়ভাগ তাম্রের সহিত একভাগ টিন মিশ্রিত হইত, এই মিশ্রধাতুর নাম ব্রঞ্জ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ইতিহাসে নব্য প্রস্তরের যুগের পরবর্ত্তিকালকে তাম্রের যুগ (Copper age) আখ্যা প্রদান করা হইয়াছে। তাম্রের যুগের শেষভাগের নাম ব্রঞ্জের যুগ। উত্তরাপথে বা দক্ষিণাপথে অদ্যাবধি এই নূতন মিশ্রধাতু-নির্ম্মিত কোন অস্ত্র আবিষ্কৃত হয় নাই এবং এই জন্য পণ্ডিতগণ অনুমান করিয়া