ছিলেন[১]। শিবরাজ বরেন্দ্রী হইতে ভীম কর্ত্তৃক নিযুক্ত রক্ষকগণকে দূর করিয়া দিয়াছিলেন এবং রাজসমীপে প্রত্যাগমন করিয়া রামপালকে জানাইয়াছিলেন যে, তাঁহার পিতৃভূমি শত্রুমুক্ত হইয়াছে[২]। শিবরাজ কর্ত্তৃক বরেন্দ্রী অধিকার বোধ হয় দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় নাই; কারণ, ইহার অব্যবহিত পরেই রামপালকে বহু সেনা সমভিব্যাহারে পুনরায় বরেন্দ্রী আক্রমণ করিতে হইয়াছিল। বারেন্দ্র-অভিযানে নিম্নলিখিত সামন্তগণ রামপালের অধীনে যুদ্ধার্থে গমন করিয়াছিলেন;—মগধ এবং পীঠীর অধিপতি ভীমযশঃ, কোটাটবীর বীরগুণ, দণ্ডভুক্তি-রাজ জয়সিংহ, দেবগ্রাম-প্রতিবদ্ধ বালবলভীর বিক্রমরাজ, অপরমন্দারের অধিপতি এবং আটবিক সামন্তচক্রের প্রধান লক্ষ্মীশূর, কুজবটীর শূরপাল, তৈলকম্পের রুদ্রশিখর, উচ্ছালের অধিপতি ময়গলসিংহ, ঢেক্করীয়-রাজ প্রতাপসিংহ, কয়ঙ্গলমণ্ডলের অধিপতি নরসিংহার্জ্জুন, শঙ্কট গ্রামের চণ্ডার্জ্জুন, নিদ্রাবলের বিজয়রাজ, কৌশাম্বীপতি দ্বোরপবর্দ্ধন, পদুবন্বার সোম। এতদ্ব্যতীত রাজ্যপালাদি রামপালের পুত্রগণ পিতার সহিত যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন[৩]। রামপালের মাতুল রাষ্ট্রকূটবংশীয় মথনদেব বা মহনদেব, মহামাণ্ডলিক কাহ্নুরদেব ও সুবর্ণদেব নামক পুত্রদ্বয় এবং ভ্রাতুষ্পুত্র মহাপ্রতীহার শিবরাজদেবের সহিত রামপালের যুদ্ধাভিযানে যোগদান করিয়াছিলেন[৪]।
- ↑ রামচরিত, ১।৪৮ টীকা।
- ↑ রামচরিত, ১।৪৯।৫০।
- ↑ অন্যত্র চণ্ডধামভিরুগ্রপ্রতাপৈর্নন্দনৈ রাজ্যপালাদিভির্বিরচিতো হরীণামশ্বানাং কুঞ্জরাণাং গজানাং ব্যূহো যস্য চতুরঙ্গং করিতুরগতরণিপদাতিময়ং অরীন্ জয়ৎ বলং কলয়ন্॥ —রামচরিত, ২।৭ টীকা।
- ↑ ......... তদীয়নন্দনমহামাণ্ডলিককাহ্নুরদেবসুবর্ণদেবভ্রাতৃজমহাপ্রতীহারশিবরাজদেবপ্রভৃতিমভয়ভুজদণ্ডমুৎকৃষ্টরাষ্ট্রকূটসুভটং......
—রামচরিত, ২।৮ টীকা।