মগধ ও পীঠীর অধিপতি ভীমযশঃ ‘রাম-চরিতে’র টীকায় “কান্যকুব্জ-রাজবাজিনীগণ্ঠনভুজঙ্গ” উপাধিতে ভূষিত হইয়াছেন[১]। সম্ভবতঃ কান্যকুব্জ-রাজ তৎকর্ত্তৃক পরাজিত হইয়াছিলেন। এই সময়ে কোন্ বংশের কোন্ রাজা কান্যকুব্জের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তাহা অদ্যাপি নির্ণীত হয় নাই। প্রতীহারবংশীয় ত্রিলোচনপালের পরে চেদিবংশীয় কর্ণদেব বোধ হয়, কিয়ৎকাল কান্যকুব্জ অধিকার করিয়াছিলেন; কারণ, গাহডবালবংশীয় গোবিন্দচন্দ্রদেবের একখানি তাম্রশাসনে লিখিত আছে যে, ভোজদেব ও কর্ণদেবের পরে চন্দ্রদেব পৃথিবীর অধীশ্বর হইয়াছিলেন[২]। গাহডবালবংশীয় চন্দ্রদেব খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর শেষপাদে আবির্ভূত হইয়াছিলেন[৩]। তৎপূর্ব্বে বোধ হয়, কর্ণদেবের পুত্র যশঃকর্ণদেব কান্যকুব্জের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন; কারণ, যশঃকর্ণদেবের পুত্রবধূ অহ্লণ দেবীর ভেড়াঘাটের শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, যশঃকর্ণ চম্পারণ্য বিদারণ করিয়াছিলেন[৪]। চম্পারণ্য মিথিলার পশ্চিমে অবস্থিত, ইহার বর্ত্তমান নাম চম্পারণ[৫]। সম্ভবতঃ যশঃকর্ণ ভীমযশঃ কর্ত্তৃক চম্পারণ্যের যুদ্ধে পরাজিত হইয়াছিলেন এবং সে সময়ে তিনি কান্যকুব্জের অধিপতি ছিলেন। পীঠী দক্ষিণ মগধের প্রাচীন নাম। মথনদেবের দৌহিত্রী কান্যকুব্জ-রাজ গোবিন্দচন্দ্রের পত্নী কুমরদেবীর শিলালিপির পাঠোদ্ধারকালে ডাক্তার কোনো (Sten Konow)
- ↑ রামচরিত ২।৫ টীকা।
- ↑ Indian Antiquary, Vol. XIV, p. 103.
- ↑ Epigraphia Indica, Vol. IX, p. 304.
- ↑
চম্পারণ্যবিদারণোদ্গতযশঃশুভ্রাংশুনা ভাসয়-
ন্নাশাচক্রমবক্রভাবহৃদয়ঃ ক্ষ্মাপালচূড়ামণিঃ। ১৪
—ভেড়াঘাটের শিলালিপি; Epigraphia Indica, Vol. II, p. 11.
- ↑ V. A. Smith—Catalogue of Coins in the Indian Museum, Vol. I, pp. 282, 293.