বংশপরিচয় অথবা তাঁহার নাম অন্য কোন প্রাচীন গ্রন্থ বা শিলালিপিতে আবিষ্কৃত হয় নাই। অপরমন্দারের অবস্থান নির্ণয় করিবার কোন উপায়ই আবিষ্কৃত হয় নাই। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু বলেন যে, অপরমন্দারের বর্ত্তমান নাম মন্দারণ[১], কিন্তু এই সম্বন্ধে সমর্থক প্রমাণের অভাব আছে। ইহার পর কুজবটীর অধীশ্বর শূরপালের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। কুজবটীর অবস্থান ও শূরপালের বংশপরিচয় সম্বন্ধে কোন প্রমাণই অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। প্রথম রাজেন্দ্রচোলের তিরুমলৈ শিলালিপিতে দণ্ডভুক্তি-রাজ ধর্ম্মপালের নাম পাওয়া গিয়াছে[২]। দণ্ডভুক্তি-রাজ ধর্ম্মপাল এবং কুজবটী-রাজ শূরপাল হয়ত পাল-রাজবংশ সম্ভূত ছিলেন। শূরপালের পরে তৈলকম্পের অধিপতি রুদ্রশিখরের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। তৈলকম্পের বর্ত্তমান নাম তেলকুপি[৩], ইহা মানভূম জেলায় অবস্থিত। রুদ্রশিখরের পরে উচ্ছালের অধিপতি ময়গলসিংহের নাম প্রদত্ত হইয়াছে। উচ্ছালের অবস্থান ও ময়গলসিংহের পরিচয় সম্বন্ধে কোন প্রমাণই অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই, তথাপি শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু বলেন যে, উচ্ছাল বর্ত্তমান বীরভূম জেলার কিয়দংশের প্রাচীন নাম। তিনি বলেন,—“শাল নদীর উত্তরবর্ত্তী ‘জৈন উঝিয়াল পরগণা’ প্রাচীন উচ্ছাল নাম রক্ষা করিতেছে[১]। বসুজ মহাশয় বোধ হয় অবগত নহেন যে, বঙ্গদেশের নানা স্থানে উজিয়াল উপাধিযুক্ত পরগণা আছে। সরকার উদনের
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ।
২৮৯