সেনাগণকে স্বীয় সেনাদলে নিযুক্ত করিয়াছিলেন[১]। বিদ্রোহদমনান্তে রামপালদেব গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যে রামাবতী নাম্নী একটি নূতন নগরী নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন[২]। শ্রীহেতুর চণ্ডেশ্বর ও ক্ষেমেশ্বর এই নূতন নগরের উপযুক্ত স্থান নির্দ্দেশ করিয়াছিলেন[৩]। রামপালদেব এই নগরে জগদ্দলমহাবিহার নামে একটি বিহার নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন[৪]। রামাবতী পাল-রাজবংশের শেষ রাজধানী এবং রামপালের কনিষ্ঠ পুত্র মদনপালের রাজ্যকালেও রামাবতী গৌড়-রাজ্যের রাজধানী ছিল[৫]। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতেও রামাবতী নগরী বিদ্যমান ছিল; কারণ, আবুল ফজল প্রণীত আইন-ই-আকবরীতে রমৌতি নগরের উল্লেখ আছে[৬]। লক্ষ্মণাবতী হইতে যেমন লক্ষ্ণৌতি হইয়াছে, সেইরূপ রামাবতী পারস্য ভাষায় রমৌতি রূপ ধারণ করিয়াছে। ভ্রমক্রমে রমৌতি স্থানে রমরৌতি লিখিত হইয়াছে[৭]।
রামাবতী স্থাপনের পরে রামপালদেব উৎকল ও কলিঙ্গ বিজয়
- ↑
অথ ভীমানীং তেন মহাতরসাশনৈরমেয়বলম্।
সমচীয়ত হরিসুহৃদা সুবিহতপরমণ্ডলাবরোধেন॥
—রামচরিত, ২।৩৮।
- ↑
অপ্যভিতো গঙ্গারতোয়ানর্ঘপ্রবাহপুণ্যতমাম্।
অপুনর্ভবাহ্বয়মহাতীর্থবিকলুষোজ্বলামন্তঃ॥
—রামচরিত, ৩।১০।
- ↑
কুর্ব্বদ্ভিঃ শংদেবেন শ্রীহেত্বীশ্বরেণ দেবেন।
চণ্ডেশ্বরাভিধানেন কিল ক্ষেমেশরেণ চ সনাথৈঃ॥
—রামচরিত, ৩।২।
- ↑ Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. III, p. 14.
- ↑ মদনপালদেবের তাম্রশাসন এই “রামাবতীনগর পরিসরসমাবাসিত শ্রীমজ্জয়স্কন্ধবার” হইতে প্রদত্ত হইয়াছিল।—গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১৫৩।
- ↑ Journal of the Royal Asiatic Society, 1896, p. 113.
- ↑ Ain-i-Akbari (Jarrett’s Trans,) Vol. II, p. 131.