পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯২
বাঙ্গালার ইতিহাস।

সেনাগণকে স্বীয় সেনাদলে নিযুক্ত করিয়াছিলেন[১]। বিদ্রোহদমনান্তে রামপালদেব গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যে রামাবতী নাম্নী একটি নূতন নগরী নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন[২]। শ্রীহেতুর চণ্ডেশ্বর ও ক্ষেমেশ্বর এই নূতন নগরের উপযুক্ত স্থান নির্দ্দেশ করিয়াছিলেন[৩]। রামপালদেব এই নগরে জগদ্দলমহাবিহার নামে একটি বিহার নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন[৪]। রামাবতী পাল-রাজবংশের শেষ রাজধানী এবং রামপালের কনিষ্ঠ পুত্র মদনপালের রাজ্যকালেও রামাবতী গৌড়-রাজ্যের রাজধানী ছিল[৫]। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতেও রামাবতী নগরী বিদ্যমান ছিল; কারণ, আবুল ফজল প্রণীত আইন-ই-আকবরীতে রমৌতি নগরের উল্লেখ আছে[৬]। লক্ষ্মণাবতী হইতে যেমন লক্ষ্ণৌতি হইয়াছে, সেইরূপ রামাবতী পারস্য ভাষায় রমৌতি রূপ ধারণ করিয়াছে। ভ্রমক্রমে রমৌতি স্থানে রমরৌতি লিখিত হইয়াছে[৭]

 রামাবতী স্থাপনের পরে রামপালদেব উৎকল ও কলিঙ্গ বিজয়

  1. অথ ভীমানীং তেন মহাতরসাশনৈরমেয়বলম্।
    সমচীয়ত হরিসুহৃদা সুবিহতপরমণ্ডলাবরোধেন॥
    —রামচরিত, ২।৩৮।

  2. অপ্যভিতো গঙ্গারতোয়ানর্ঘপ্রবাহপুণ্যতমাম্।
    অপুনর্ভবাহ্বয়মহাতীর্থবিকলুষোজ্বলামন্তঃ॥
    —রামচরিত, ৩।১০।

  3. কুর্ব্বদ্ভিঃ শংদেবেন শ্রীহেত্বীশ্বরেণ দেবেন।
    চণ্ডেশ্বরাভিধানেন কিল ক্ষেমেশরেণ চ সনাথৈঃ॥
    —রামচরিত, ৩।২।

  4. Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. III, p. 14.
  5. মদনপালদেবের তাম্রশাসন এই “রামাবতীনগর পরিসরসমাবাসিত শ্রীমজ্জয়স্কন্ধবার” হইতে প্রদত্ত হইয়াছিল।—গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১৫৩।
  6. Journal of the Royal Asiatic Society, 1896, p. 113.
  7. Ain-i-Akbari (Jarrett’s Trans,) Vol. II, p. 131.