ছিলেন[১]। কোন্ সময়ে, কিরূপে মদনপালের রাজ্যাবসান হইয়াছিল এবং তাঁহার কোন বংশধর পাল-সাম্রাজ্যের কোন অংশের অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন কিনা তাহা নির্ণয় করিবার কোন উপায়ই অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। মদনপালদেবই বোধ হয় পাল-রাজবংশের শেষ রাজা। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে গোবিন্দপাল নামক একজন নরপতি কিয়ৎকালের জন্য মগধের অধিকার লাভ করিয়াছিলেন, কিন্তু সেন-রাজগণের আক্রমণে তাঁহার অধিকারের অধিকাংশ তাঁহার হস্তচ্যুত হইয়াছিল। পরবর্ত্তী অধ্যায়ে মুসলমান-বিজয়-প্রসঙ্গে গোবিন্দপালের রাজত্বের কথা আলোচিত হইবে[২]।
মদনপালদেবের একখানি তাম্রশাসন ও দুইখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। মদনপাল তাঁহার অষ্টম রাজ্যাঙ্কে পৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তঃপাতী কোটীবর্ষবিষয়ে কাষ্ঠগিরি (?) গ্রাম, মহারাজ্ঞী পট্টমহাদেবী চিত্রমতিকাদেবীকে মহাভারত পাঠ করিয়া শুনাইবার দক্ষিণাস্বরূপ চম্পাহিট্টি নিবাসী বটেশ্বরস্বামীশর্ম্মা-নামক জনৈক ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন[৩]। মদনপালদেবের তৃতীয় রাজ্যাঙ্কে একটি ষষ্ঠীমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[৪]। এই মূর্ত্তিটি বিহার নগরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। তাঁহার ঊনবিংশ রাজ্যাঙ্কে আর একটি মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল; এই মূর্ত্তিটি মুঙ্গের জেলায় জয়নগর গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৫]। কিন্তু এই দুইটি মূর্ত্তির একটিরও সন্ধান পাওয়া যায় না।
- ↑
সিংহীসুতবিক্রান্তেনার্জ্জুনধাম্না ভুবঃ প্রদীপেন।
কমলাবিকাশভেষজভিষজা চন্দ্রেণ বন্ধুনোপেতাম্॥—রামচরিত, ৪।২০। - ↑ গোবিন্দপালের রাজত্বকালের ঘটনাসমূহ সম্বন্ধে দ্বাদশ পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য।
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১৫৪।
- ↑ Cunningham, Archæological Survey Reports, Vol. III, p. 124, no. 16.
- ↑ Ibid, p. 125. No. 17. pl. XLI.