ছিলেন। বল্লালসেনের রাজত্বকালে হরিঘোষ তাঁহার সান্ধিবিগ্রহিক ছিলেন।
১১১৯ খৃষ্টাব্দে বল্লালসেনের পুত্র লক্ষ্মণসেন গৌড়সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। তাঁহার মাতার নাম রামদেবী, মাধাইনগরে আবিষ্কৃত লক্ষ্মণসেনদেবের তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, রামদেবী চালুক্যবংশের দুহিতা[১]। লক্ষ্মণসেনের রাজত্বকালে কান্যকুব্জের গাহডবালবংশীয় রাজগণ মগধ আক্রমণ করিয়া অধিকার করিয়াছিলেন। পাল-রাজবংশের শেষ নরপতিগণ সম্ভবতঃ পিতৃভূমি বরেন্দ্রী হইতে তাড়িত হইয়া মগধে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। এইরূপ অনুমানের বিশেষ কারণ আছে, কারণ গোবিন্দপাল নামক জনৈক পালোপাধিধারী রাজা খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে মগধে রাজত্ব করিতেন[২]। পূর্ব্বে কথিত হইয়াছে যে, কান্যকুব্জের গাহডবাল বংশের রাজগণের সহিত মদনপালদেবের বন্ধুত্ব ছিল। সম্ভবতঃ মদনপালদেব অথবা তাঁহার উত্তরাধিকারী, সেনবংশীয় রাজগণ কর্ত্তৃক গৌড়ের অধিকারচ্যুত হইলে মদনপাল ও তাঁহার পুত্র গোবিন্দচন্দ্র তাঁহাদিগকে সেন-রাজগণের অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার জন্য, অথবা পিতৃরাজ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিবার জন্য সসৈন্যে মগধ ও অঙ্গ আক্রমণ করিয়াছিলেন। গোবিন্দচন্দ্র কর্ত্তৃক মগধ আক্রমণের প্রমাণ তাঁহার দুইখানি তাম্রশাসন হইতে পাওয়া গিয়াছে। গোবিন্দচন্দ্রদেব ১১১৪ খৃষ্টাব্দের পূর্ব্বে কান্যকুব্জের সিংহাসনে আরোহণ করিয়া-