পরিশেষে কিরূপ পরিহাসস্পদ হইয়াছিলেন তাহা সকলেরই স্মরণ রাখা উচিত।
খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর কোন সময়ে মহামাণ্ডলিক উপাধিধারী কায়স্থ অথবা গোপ জাতীয় সামন্ত-রাজগণ স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন। দিনাজপুর জেলায় মালদোয়ার রাজ-ষ্টেটের দপ্তরখানায় বহুকাল হইতে একখানি তাম্রশাসন সযত্নে রক্ষিত হইতেছে। মালদোয়ার ষ্টেট ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে প্রথমবার কোর্ট-অব-ওয়ার্ডসের অধীন হইবার সময়ে এই তাম্রশাসনখানিও তালিকাভুক্ত হইয়াছিল[১]। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, রাঢ়দেশের অধিপতির পুত্র ধূর্ত্তঘোষ, তাঁহার পুত্রের নাম শ্রীবালঘোষ, বালঘোষের পুত্রের নাম ধবলঘোষ। সদ্ভাবা নাম্নী পত্নীর গর্ভে ধবলঘোষের ঈশ্বরঘোষ নামক এক পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। ঈশ্বরঘোষ ঢেক্করী হইতে পিয়োল্ল মণ্ডলান্তঃপাতী গাল্লিটিপ্যকবিষয়ে দিগ্ঘাসোদিয়াগ্রাম, ভার্গব গোত্রীয় ভট্ট শ্রীনিব্বোকশর্ম্মা নামক জনৈক যজুর্ব্বেদীয় ব্রাহ্মণকে মার্গশীর্ষের সংক্রান্তিতে জটোদায় স্নান করিয়া প্রদান করিয়াছিলেন[২]। এই তাম্রশাসন ঈশ্বরঘোষের পঞ্চত্রিংশ রাজ্যাঙ্কে সম্পাদিত হইয়াছিল। শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় এই তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধার করিয়াছেন, কিন্তু তিনি ইহার কাল নির্দ্দেশ করেন নাই। তৎকর্ত্তৃক প্রকাশিত চিত্রে, ইহার অক্ষর দেখিয়া বোধ হয় যে, এই তাম্রশাসনখানি বিজয়সেন অথবা বল্লালসেনের তাম্রশাসনের পূর্ব্বে উৎকীর্ণ হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত অন্য প্রমাণাভাবে ঈশ্বরঘোষের তাম্রশাসন সম্বন্ধে কোন কথাই বলা যাইতে পারে না।
খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষপাদে সেন উপাধিধারী দুইজন রাজা