মগধের দক্ষিণভাগে রাজত্ব করিতেন। ইঁহারা সম্ভবতঃ সেন-রাজবংশজাত এবং লক্ষ্মণসেনের রাজ্যকালে মগধ বিজিত হইলে উহার শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত হইয়াছিলেন। পরে সেন-রাজবংশের অধঃপতনের সময়ে তাঁহারা স্বাধীনতা লাভ করিয়াও রাজোপাধি গ্রহণ করেন নাই। এই বংশের প্রথম রাজা বুদ্ধসেন। মহাবোধিমন্দিরের প্রাঙ্গণের পাষাণাচ্ছাদনের একখানি প্রস্তর ফলকে বহু পূর্ব্বে একখানি শিলালেখ আবিষ্কৃত হইয়াছিল[১]। ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, রাজপুতানার সপাদলক্ষ দেশের অধিপতির এবং কমাদেশের রাজগুরু ভিক্ষু পণ্ডিত শ্রীধর্ম্মরক্ষিত যখন বুদ্ধ গয়ায় আসিয়াছিলেন তখন বুদ্ধসেনদেব পীঠি প্রদেশের অধিপতি ছিলেন। ১৮১৩ বুদ্ধনির্ব্বাণাব্দে ধর্ম্মরক্ষিত বুদ্ধগয়ায় একটি গন্ধকূটী নির্ম্মাণে ব্যাপৃত ছিলেন[২]। অধ্যাপক শ্রীযুক্ত ননীগোপাল মজুমদার অনুমান করেন যে, বুদ্ধগয়ার মন্দির প্রাঙ্গনের এই শিলালিপিতে উল্লিখিত বুদ্ধসেন গয়ার ১৮১৩ বুদ্ধনির্ব্বাণাব্দের শিলালিপিতে উল্লিখিত মগধ-রাজ[৩]। প্রত্নতত্ত্ববিভাগের পূর্ব্বচক্রের ভূতপূর্ব্ব সহকারী অধ্যক্ষ স্বর্গগত পণ্ডিত হরনন্দন পাণ্ডেয় বুদ্ধগয়া বা মহাবোধিগ্রামের তিনক্রোশ পূর্ব্বে অবস্থিত জানিবিঘা গ্রামে এই বুদ্ধসেনের পুত্র জয়সেনের দান সম্বন্ধীয় একখানি শিলালিপি ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে আবিষ্কার করিয়াছিলেন[৪]। এই শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, লক্ষ্মণসেনদেবের অতীত রাজ্যের ৮৩ সম্বৎসরে কার্ত্তিক মাসের শুক্লপক্ষের
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পরিচ্ছেদ।
৩৩১