পঞ্চদশ দিবসে, পীঠি প্রদেশের অধিপতি বুদ্ধসেনের পুত্র আচার্য্য রাজা জয়সেন সপ্তঘট্টে অবস্থিত কোট্ঠলা গ্রাম শ্রীমদ্বজ্রাসনের জন্য সিংহল দেশীয় ভিক্ষু মঙ্গলস্বামীকে দান করিয়াছিলেন। এই শিলালিপি হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, রামচরিত[১] ও সারনাথে আবিষ্কৃত গাহড্বাল-রাজ গোবিন্দচন্দ্রের মহিষী কুমারদেবীর শিলালিপিতে[২] উল্লিখিত পীঠি প্রদেশ বর্ত্তমান গয়া জেলার প্রাচীন নাম এবং খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষপাদে এই প্রদেশ সেন উপাধিধারী দুইজন রাজার অধিকারভুক্ত ছিল; কারণ তাঁহারা লক্ষ্মণসেন কর্ত্তৃক প্রবর্ত্তিত অব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। এই শিলালিপি হইতে আরও প্রমাণ হইতেছে যে, ১১৯৯ খৃষ্টাব্দে প্রাচীন উদ্দণ্ডপুর ও নালন্দ (বর্ত্তমান বিহার নগর ও বড্গাঁও গ্রাম) এবং বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হইলেও বুদ্ধগয়া ধ্বংস হয় নাই এবং তথায় বুদ্ধসেনের পুত্র জয়সেন ১২০২ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত রাজ্য করিয়াছিলেন।
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩২
বাঙ্গালার ইতিহাস।