লিপিতে গোবিন্দপালের নাম ব্যবহৃত হইল কেন? খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে লিখিত বহু বৌদ্ধ গ্রন্থে গোবিন্দপালদেবের রাজ্যাঙ্কের ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়:—
(১) কলিকাতার এসিয়াটীক সোসাইটীর গ্রন্থাগারে রক্ষিত ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’; ইহার শেষ পত্রে লিখিত আছে—“দেয়ধর্ম্মোয়ং প্রবরমহায়ান (যায়ি)নঃ খানোদকীয় যশরাপুরাবস্থানেবং॥ দানপতি ক্ষান্তিরক্ষিতস্য যদত্র পুণ্যন্তদ্ভবত্যাচার্য্যোপাধ্যায়মাতাপিতৃপূর্ব্বং গমং কৃত্বা সকলসত্তরাশেরনুত্তরজ্ঞানফলাবাপ্তয় ইতি। শ্রীমদ্গোবিন্দপালদেবস্যাতীতসম্বৎস ১৮ কার্ত্তিক দিনে ১৫ চঙ্গডপাটকাবস্থিত খানোদ কীয়যশরাপুরে আচার্য্যপ্রজ্ঞানু......”
(২) কলিকাতার এসিয়াটীক সোসাইটীর গ্রন্থাগারে রক্ষিত ‘অমরকোষে’র শেষ পত্রে লিখিত আছে:—
“লিঙ্গসংগ্রহঃ সমাপ্তঃ পরমভট্টারকেত্যাদি রাজাবলী পূর্ব্ববৎ শ্রীগোবিন্দপালীয় সম্বৎ ২৪ চৈত্র শুদি ৮ শুভমস্তু সর্ব্বজগতাম্ ইতি[১]।
(৩) ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত ‘গুহ্যাবলীবিবৃতি’ নামক গ্রন্থের শেষ পত্রে লিখিত আছে:—
“গুহ্যাবলীবিবৃতিঃ॥ বিবৃতিঃ পণ্ডিতস্থবিরশ্রীঘনদেবস্য॥ গোবিন্দপালদেবানাং সং ৩৭ শ্রামণ দিনে ১১ লিখিতমিদং পুস্তকং কা শ্রীগয়াকরেণেতি[২]॥”