অসম্ভব দেখিয়া সংসারত্যাগী বৌদ্ধ-ভিক্ষুগণ সদ্ধর্ম্ম ও আত্মরক্ষার্থ অস্ত্রধারণ করিয়াছিলেন। উদ্দণ্ডপুর নগরের, গিরি-শীর্ষে অবস্থিত সঙ্ঘারাম, দুর্গের ন্যায় সুরক্ষিত; এই সঙ্ঘারামে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া গোবিন্দপাল মুষ্টিমেয় সেনা ও বৌদ্ধ-ভিক্ষুগণের সাহায্যে আত্মরক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন[১]। সে চেষ্টা সফল হয় নাই, তখন আর্য্যাবর্ত্তের কোন রাজা মগধেশ্বরের সাহায্যার্থ অগ্রসর হন নাই। উদ্দণ্ডপুর-সঙ্ঘারাম অধিকৃত হইলে সসৈন্য গোবিন্দপালদেব নিহত হইয়াছিলেন। মুসলমান ইতিহাসবেত্তা সরলভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে, দুর্গ অধিকৃত হইলে দেখা গেল যে, উহা একটি বিদ্যালয়; উহাতে রাশি রাশি গ্রন্থ সঞ্চিত আছে। কিন্তু তখন দুর্গরক্ষী সেনা ও ভিক্ষুগণ নিহত হইয়াছিল, মগধদেশে এমন কেহ ছিল না যে, বিজেতৃগণের কৌতূহল নিবারণার্থ ঐ সকল গ্রন্থের পরিচয় প্রদান করিতে পারে[২]। এইরূপে ধর্ম্মপাল ও দেবপালের বিশাল সাম্রাজ্যের অবসান হইয়াছিল। গোবিন্দপাল নিহত হইলে মগধদেশ মহম্মদ্-ই-বখ্তিয়ারের পদানত হইয়াছিল। বিজেতার আদেশে উদ্দণ্ডপুর
- ↑ Muhammad-i-Bakhtyar by the force of his intrepidity, threw himself into the postern of the gateway of the place, and they captured the fortress, and acquired great booty. The greater number of inhabitants of that place were Brahmans, and the whole of those Brahmans had their heads shaven; and they were all slain.—Tabaqat-i-Nasiri, (Trans. by Raverty), p. 552.
- ↑ There were great number of books there; and when all these books came under observation of the Musalmans, they summoned a number of Hindus that they might give them information respecting the import of those books; but the whole of the Hindus had been killed. On becoming acquainted, it was found that the whole of that fortress and city was a college, and in the Hindi tongue, they call a College—Bihar.—Ibid.