৷৵৹
স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় সমর্থ হয় নাই। এই কারণে বাঙ্গালার ইতিহাসে মগধ ও অঙ্গের ঐতিহাসিক তথ্যও আলোচিত হইয়াছে।
ভূবিদ্যাবিশারদের নিকটে বাঙ্গালাদেশের শৈশব এখনও অতিক্রান্ত হয় নাই। এই নূতন দেশে বহু প্রাচীন আদিম মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন আবিষ্কৃত হইবে, ইহা বোধ হয় কাহারও ধারণা ছিল না। ভূবিদ্যাবিদ্ শ্রীযুক্ত কগিন্ ব্রাউন্ ও শ্রীযুক্ত হেমচন্দ্র দাশগুপ্ত, সুহৃদ্দ্বয়ের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অসাধারণ অধ্যবসায়ের ফলস্বরূপ বাঙ্গালাদেশের প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস সঙ্কলিত হইল। গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ের আখ্যানবস্তু সংগ্রহ ও তাহার সত্যাসত্য নিরূপণের জন্য পূর্ব্বোক্ত ভূবিদ্যাবিদ্ পণ্ডিতদ্বয়ের নিকটে গ্রন্থকার সম্পূর্ণরূপে ঋণী। প্রযুক্ত কগিন্ ব্রাউন্ (J. Coggin Brown) তদ্রচিত “কলিকাতা চিত্রশালার প্রাগৈতিহাসিক যুগের নিদর্শনসমূহের তালিকা” নামক গ্রন্থ রচনাকালে গ্রন্থকারের ব্যবহারের জন্য বাঙ্গালাদেশের প্রত্নপ্রস্তর ও নব্যপ্রস্তরযুগের আয়ুধ সম্বন্ধে যে সকল তথ্য সংগ্রহ করিয়া দিয়াছিলেন, তদবলম্বনে প্রথম অধ্যায় রচিত হইয়াছে। অধ্যাপক শ্রীযুক্ত হেমচন্দ্র দাশগুপ্ত প্রাগৈতিহাসিকযুগের আদিমমানব সম্বন্ধে নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ এবং প্রথম অধ্যায়ের পাণ্ডুলিপি পরিবর্ত্তন ও পরিবর্দ্ধন করিয়া দিয়াছেন।
উত্তরাপথের পূর্ব্বাঞ্চলে আর্য্যজাতির উপনিবেশ স্থাপিত হইবার পূর্ব্বে বাঙ্গালাদেশের কিরূপ অবস্থা ছিল, গ্রন্থের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে তাহা নির্ণয় করিবার চেষ্টা হইয়াছে। এই সম্বন্ধে যে সকল প্রমাণ পাওয়া যায় তাহা সম্পূর্ণাবয়ব নহে, তাহা প্রমাণাভাস মাত্র। “ৰাঙ্গালার আদিম অধিবাসী ও আর্য্যবিজয়” সম্বন্ধে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে যাহা লিপিবদ্ধ হইয়াছে, তাহা এখনও বিজ্ঞানসম্মত প্রণালী অবলম্বিত রচনার তুল্যাসন পাইবার যোগ্য হয় নাই; কিন্তু এই তমসাচ্ছন্ন যুগের ইতিহাস পর্য্যা-