চতুষ্কোণ তাম্রমুদ্রা এবং দ্বিতীয়, “ছাঁচে ঢালা” (cast) চতুষ্কোণ বা গোলাকার মুদ্রা। ভূতত্ত্ববিভাগের ভূতপূর্ব্ব চিত্রকর মৃত নৃপেন্দ্রনাথ বসু ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত বেড়াচাপা গ্রামের নিকটে শেষোক্ত প্রকারের ছয়টি তাম্রমুদ্রা আবিষ্কার করিয়াছিলেন। তৎকর্ত্তৃক সংগৃহীত মুদ্রাগুলি এখন বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায় রক্ষিত আছে[১]। দীনবন্ধু মিত্র তমলুকেও এই জাতীয় একটি মুদ্রা পাইয়াছিলেন[২]। গত পাঁচ বৎসরে বাঙ্গালাদেশের নানাস্থানে এই জাতীয় মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে।
মরুদেশে মেষচারণের ভূমির অধিকার লইয়া, যাযাবর জাতিদ্বয়ের দ্বন্দ্বযুদ্ধের ফলে ইউচি জাতি যখন পরাজিত হইয়া নূতন আবাসের সন্ধানে পশ্চিমাভিমুখে যাত্রা করিল, তখন প্রাচীন প্রাচ্যজগতের ইতিহাসের একটি নূতন অধ্যায় আরম্ভ হইল। ইউচিগণ অগ্রসর হইলে তাহাদিগের সহিত উ-সুন নামক আর একটি শক জাতির বিবাদ হয়, ফলে উ-সুনগণ পরাজিত হইয়া তাহাদিগের মেষচারণ ভূমি পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হয়। ইউচি-গণ কিয়ৎকাল উ-সুনদিগের আবাস-ভূমিতে বাস করিতে থাকে। উ-সুনগণ প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া ইউচিদিগকে পরাজিত করে এবং উহাদিগকে পলায়ন করিতে বাধ্য করে। ইউচিগণ পশ্চিমাভিমুখে অগ্রসর হইয়া ক্রমশঃ বক্ষু বা চক্ষু (Oxus) নদীতীরে উপস্থিত হইয়াছিল। বক্ষু নদীর উত্তর তীরে, শকদ্বীপে (Soghdiana) যে সকল শকজাতি বাস করিতেছিল, তাহারা নবাগত শকজাতি কর্ত্তৃক তাড়িত হইরা বাহ্লীক ও