Royal Asiatic Society, 1919, pp. 395-99., Indian Antiquary, Vol. XLVII, 1918, pp. 223-24; Vol. XLVIII, 1919, pp. 187-91.)।
রাজা খারবেল যখন গোরথগিরি জয় করিয়া রাজগৃহ বেষ্টন করিয়াছিলেন, তখন বঙ্গদেশের অবস্থা কি ছিল তাহা বলিতে পারা যায় না। গোরধগিরি বা গোরথগিরির বর্ত্তমান নাম বরাবর পাহাড়, ইহা গয়া জেলার উত্তরাংশে অবস্থিত। খারবেল বাঙ্গালাদেশ দিয়া মগধে গিয়াছিলেন কি না তাহা বলিতে পারা যায় না। ইহার পরে দশম বর্ষে তিনি যখন ভারতবর্ষ জয় করিতে যাত্রা করিয়াছিলেন এবং দ্বাদশ রাজ্যাঙ্কে যখন তিনি মগধরাজকে পরাজিত ও বশীভূত করিয়াছিলেন তখন তিনি গৌড় ও বঙ্গদেশ জয় করিয়াছিলেন কি না তাহাও বলিতে পারা যায় না। এই সকল কারণে খারবেলের শিলালিপির প্রমাণ গ্রন্থমধ্যে উল্লিখিত হইল না। বাঙ্গালাদেশের ইতিহাসের সহিত এই শিলালিপির সাক্ষাৎ সম্পর্ক না থাকিলেও মগধের ইতিহাসে ইহার স্থান অতি উচ্চ এবং এই সময়ে গৌড় ও মগধের স্বতন্ত্র ঐতিহাসিক বিবরণ রচনা প্রমাণাভাবে অসম্ভব। সম্ভবতঃ এই সময়ে গৌড়দেশ মগধরাজ্যভুক্ত ছিল এবং মগধরাজের অধঃপতনের সহিত গৌড়রাজ্য কলিঙ্গরাজের পদানত হইয়াছিল। খারবেলের শিলালিপির বিবরণ Journal of the Bihar and Orissa Research Society, December 1918 হইতে সঙ্কলিত হইল।
পুরাণে মহাপদ্মনন্দ কর্ত্তৃক ক্ষত্রিয় বিনাশ ও তাঁহার একরাট্ বা একচ্ছত্র পদবীর উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়:—
“মহানন্দিসুতশ্চাপি শূদ্রায়াং কলিকাংশজঃ,
উৎপৎস্যতে মহাপদ্মঃ সর্ব্বক্ষত্রান্তকো নৃপঃ।
ততঃ প্রভৃতি রাজানোভবিষ্যাঃ শূদ্রযোনয়ঃ,
একরাট্ স মহাপদ্ম একচ্ছত্রো ভবিষ্যতি॥”
—মৎস্য, বায়ু ও ভবিষ্য পুরাণ।
(F. E. Parglter's The Purana Text of the Dynasties of the Kali Age, P. 25.)
পুরাণে মৌর্য্য শুঙ্গ এবং কাণ্বায়ন বা শুঙ্গভৃত্য রাজাগণের তালিকা দেখিতে পাওয়া