চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
গুপ্তাধিকার কাল।
গুপ্তরাজবংশের অভ্যুদয়—(প্রথম) চন্দ্রগুপ্ত—গৌপ্তাব্দের প্রারম্ভ—সাম্রাজ্যের সূত্রপাত—বর্দ্ধমানে আবিষ্কৃত প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রা—সমুদ্রগুপ্ত—তাঁহার দিগ্বিজয় ও অশ্বমেধ—এলাহাবাদ স্তম্ভলিপি—দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত—মালব ও সৌরাষ্ট্র অধিকার—সাম্রাজ্যের আভ্যন্তরীণ অবস্থা—চীন পরিব্রাজক ফা-হিয়েন্—প্রথম কুমারগুপ্ত—অশ্বমেধ—নাটোরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসন—পুষ্যমিত্রীয় ও হূণজাতির আক্রমণ—অর্থাভাবে নিকৃষ্ট মুদ্রার প্রচলন—স্কন্দগুপ্ত—হূণসমস্যা-অন্তর্বিদ্রোহ ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ—গুপ্ত সাম্রাজ্যের ধ্বংসসূচনা—পুরগুপ্ত—সাম্রাজ্য মগধ ও বঙ্গে সীমাবদ্ধ—নরসিংহগুপ্ত—দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত—বুধগুপ্ত—ভানুগুপ্ত—তৃতীয় চন্দ্রগুপ্ত (দ্বাদশাদিত্য)—বিষ্ণুগুপ্ত (চন্দ্রাদিত্য)—মুরশিদাবাদে বিষ্ণুগুপ্ত ও জয়গুপ্তের সুবর্ণমুদ্রাবিষ্কার।
খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর প্রারম্ভে পাটলিপুত্রের কে রাজা ছিলেন, তাহা অদ্যাপি নির্ণীত হয় নাই এবং বঙ্গ ও মগধে কাহার অধিকার ছিল তাহা বলিতে পারা যায় না। মরুবাসী পুষ্করণা দেশের অধিপতি চন্দ্রবর্ম্মা যখন সিন্ধুর সপ্তমুখ পার হইয়া বাহ্লীকদেশে ও বঙ্গদেশে দিগ্বিজয়যাত্রা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তখন বোধ হয় আর্য্যাবর্ত্তের কোন ক্ষমতাশালী নৃপতির অস্তিত্ব ছিল না। চন্দ্রবর্ম্মার দিগ্বিজয়কালে মগধে লিচ্ছবিরাজবংশের জামাতা, চন্দ্রগুপ্ত নামক জনৈক ব্যক্তি, একটি ক্ষুদ্র রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। সেই সময় হইতেই গৌড় ও রাঢ় এই নূতন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলিয়া অনুমান হয়। চন্দ্রগুপ্তের পুত্র, সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে, এই ক্ষুদ্র রাজ্য ক্রমে আয়তনে বর্দ্ধিত হইয়া