পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।

করিয়াছিলেন এবং এই স্থান হইতে অর্ণবপোতে আরোহণ করিয়া সিংহল যাত্রা করিয়াছিলেন[১]। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পত্নীর নাম ধ্রুবদেবী বা ধ্রুবস্বামিনী[২]। ধ্রুবস্বামিনীর গর্ভে কুমারগুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্ত[৩] নামক দুই পুত্র উৎপন্ন হইয়াছিল। কুমারগুপ্ত পিতার মৃত্যুর পরে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যকালের দুইজন রাজকর্ম্মচারীর নাম আবিষ্কৃত হইয়াছে। মালবের উদয়গিরি পর্ব্বতগুহার খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া ষায় যে, পাটলিপুত্রবাসী বীরসেন অর্থাৎ শাব তাঁহার সচিব ছিলেন[৪]। গোরক্ষপুর জেলায় ভরডি ডিহ গ্রামে একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হইয়াছিল; শিবলিঙ্গের গাত্রে একটি খোদিত লিপি আছে, তাহাতে উল্লিখিত আছে যে, বিষ্ণুপালিতভট্টের পুত্র কুমারামাত্য শিখরস্বামী সম্রাট্ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী ছিলেন[৫]

 মগধ ও বঙ্গের নানাস্থানে মহারাজাধিরাজ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। পাটলিপুত্রের ধ্বংসাবশেষ খননকালে ডাক্তার স্পুনার দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কয়েকটি তাম্রমুদ্রা আবিষ্কার করিয়াছিলেন। এই জাতীয় তাম্রমুদ্রা অতীব দুষ্প্রাপ্য[৬]। ভাগলপুরজেলায় সুলতানগঞ্জের নিকটে একটি প্রাচীন বৌদ্ধস্তূপ খননকালে সৌরাষ্ট্রের শকজাতীয়

  1. সমসাময়িক ভারত, ৮ম খণ্ড, পৃঃ ২৮-১২৪।
  2. Fleet's Corpus Inscriptionum Indicarum, Vol. III, p. 43.
  3. Annual Report of the Archaeological Survey of India, 1903-4, p. 107 pl. XLI. 14.
  4. Fleet's Corpus Inscriptionum Indicarum, Vol. III. p. 35.
  5. Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V. 1909. p. 459.
  6. Annual Report of the Archaeological Survey, Eastern Circle, 1912-13, p. 61.