শেষ মহাক্ষত্রপ রুদ্রসিংহের রজতমুদ্রার সহিত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের একটি রজতমুদ্রাও আবিষ্কৃত হইয়াছিল[১]। তাঁহার বহুবিধ সুবর্ণমুদ্রাও আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে মজঃফরপুর জেলায় হাজীপুর গ্রামে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ত্রিবিধ সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল। এই তিন প্রকারের মুদ্রায় যথাক্রমে ধনুর্ব্বাণহস্তে রাজমূর্ত্তি, ছত্রের নিম্নে দণ্ডায়মান রাজমূর্ত্তি ও সিংহহন্তা রাজমূর্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়[২]। শূলহস্তে রাজমুর্ত্তিযুক্ত তিনটি সুবর্ণমুদ্রা গয়ায় আবিষ্কৃত হইয়াছিল, তন্মধ্যে একটি বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায়,[৩] দ্বিতীয়টি রঙ্গপুর সদ্যঃপুষ্করিণীর ভূস্বামী রায় শ্রীযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় রায় চৌধুরী বাহাদুরের নিকট ও তৃতীয়টি কলিকাতানিবাসী শ্রীযুক্ত প্রফুল্লনাথ ঠাকুরের নিকট রক্ষিত আছে। পাটনানিবাসী বিখ্যাত শ্রেষ্ঠী রায় রাধাকৃষ্ণ বাহাদুরের নিকট ও ভাগলপুর নিবাসী বাবু দেবীপ্রসাদের নিকট মগধে আবিষ্কৃত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের বহু সুবর্ণমুদ্রা আছে। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে হুগলী জেলার অন্তর্গত জাহানাবাদ মহকুমায় মাধবপুর গ্রামে ধনুর্ব্বাণহস্তে রাজমূর্ত্তিযুক্ত পাঁচটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৪]। এই জাতীয় আর একটি সুবর্ণমুদ্রা শতাধিকবর্ষ পূর্ব্বে কলিকাতার নিকট কালীঘাটে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। তদানীন্তন শাসনকর্ত্তা ওয়ারেন হেষ্টিংস তৎকালে ইহা ইংলণ্ডে প্রেরণ করিয়াছিলেন। এই মুদ্রাটি এক্ষণে লণ্ডন নগরে ব্রিটিশ্ মিউজিয়মে
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৫৭