আছে[১]। যশোহর জেলায় মহম্মদপুর গ্রামে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কতকগুলি রজতমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[২]। মগধে বা বঙ্গে অদ্যাবধি মহারাজাধিরাজ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কোন খোদিতলিপি আবিষ্কৃত হয় নাই। ৯৩ হইতে ৯৬ গৌপ্তাব্দের মধ্যে কোন সময়ে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের দেহাবসান হইয়াছিল এবং প্রথম কুমারগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। প্রথম কুমারগুপ্ত রাজ্যাভিষেকের পরে মহেন্দ্র বা মহেন্দ্রাদিত্য উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন। ৯৬ গৌপ্তাব্দে, আধুনিক যুক্তপ্রদেশের ইটা জেলায়, বিলসড গ্রামে আবিষ্কৃত একটি শিলাস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এই শিলাস্তম্ভের খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ধ্রুবশর্ম্মা নামক একব্যক্তি প্রথম কুমারগুপ্তের রাজ্যকালে একটি তোরণ, একটি মন্দির ও একটি ধর্ম্মসত্র নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন[৩]। এই ঘটনার দুই বৎসর পরে মাতৃদাস প্রমুখ কয়েকজন ব্যক্তি আর একটি সত্র স্থাপন করিয়াছিলেন। এলাহাবাদ জেলার কর্চ্ছনা তহশীলের অন্তর্গত গঢ়োয়াগ্রামে আবিষ্কৃত একটি শিলালিপিতে এই ঘটনার উল্লেখ আছে[৪]। প্রথম কুমারগুপ্তের রাজ্যকালে উদয়গিরি পর্ব্বতগুহায় গোশর্ম্ম নামক জনৈক জৈনাচার্য্য ত্রয়োবিংশতিতম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের একটি মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[৫]। ১১৩ গৌপ্তাব্দে মথুরানগরে আর একটি জিনমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[৬]। চারি পাঁচ বৎসর
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, 1884, Pt. I. p. 150, British Museum Catalogue of Indian Coins, Gupta dynasties, p. lxxx.
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol. XXI, p. 40.
- ↑ Fleet's Corpus Inscriptionum Indicarum, Vol, III, p. 44.
- ↑ Ibid p. 38.
- ↑ Ibid, p. 258.
- ↑ Epigraphia Indica, Vol. II, p. 210. No. X.