তাম্রশাসন দ্বারা কিঞ্চিৎ ভূমি লাভ করিয়াছিলেন এবং ইহা স্থহ্নেশ্বর দাস কর্ত্তৃক উৎকীর্ণ হইয়াছিল[১]।
এই তাম্রশাসনখানি বর্ত্তমান সময়ে রাজশাহীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে অধ্যাপক শ্রীযুক্ত রাধাগোবিন্দ বসাক এই তাম্রশাসনের নবোদ্ধৃত পাঠ প্রকাশ করিয়াছেন, তদনুসারে যে বিষয়ে প্রদত্ত ভূমি অবস্থিত ছিল, তাহার নাম খাটাপার এবং ইহা স্তম্ভেশ্বর দাস কর্ত্তৃক উৎকীর্ণ হইয়াছিল[২]। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে যুক্ত প্রদেশের ইটা জেলায় ভরডি ডিহ গ্রামে একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হইয়াছিল, এই লিঙ্গের পাদমূলে যে খোদিত লিপি উৎকীর্ণ আছে, তাহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে ১১৭ গৌপ্তাব্দে (৪৩৬ খৃষ্টাব্দে) মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমার গুপ্তের প্রধান কর্ম্মচারী পৃথিবীষেণ, পৃথিবীশ্বর নামে একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[৩]। ইংরাজী ১৯১৫ সালের এপ্রিল মাসে দিনাজপুর জেলায় ফুলবাড়ী রেলষ্টেশনের নিকটবর্ত্তী দামোদরপুর গ্রামের ছমীরুদ্দিন মণ্ডল কর্ত্তৃক নিযুক্ত কতকগুলি লোক হরিপুকুর এবং খোলাকুটী পুকুর নামক দুইটি পুষ্করিণীর মধ্য দিয়া পথ প্রস্তুতকালে পাঁচখানি তাম্রলিপি আবিষ্কার করিয়াছিল। এই পাঁচখানি তাম্রলিপি বর্ত্তমান সময়ে রাজশাহীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত আছে এবং অধ্যাপক শ্রীযুক্ত রাধাগোবিন্দ বসাক এইগুলির পাঠোদ্ধার করিয়াছেন। এই তাম্রলিপিগুলি তাম্রশাসন নহে অর্থাৎ চক্রবর্ত্তী