রাজা বা কোন সামন্তরাজ কর্ত্তৃক দেবতা বা ব্রাহ্মণকে ভূমিদানের পত্র নহে। এই পাঁচখানি তাম্রলিপির একখানি হইতে জানা যায় যে, ১২৪ গৌপ্তাব্দে (৪৪৩ খৃষ্টাব্দে) পরম দৈবত পরম ভট্টারক মহারাজাধিরাজ কুমারগুপ্তদেবের রাজ্যকালে পুণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তিতে চিরাতদত্ত নামক উপরিক শাসনকর্ত্তা ছিলেন। উপরিক উপাধিযুক্ত রাজকর্ম্মচারীর নাম অনেক তাম্রশাসনে ও শিলমোহরে পাওয়া গিয়াছে কিন্তু এই তাম্রলিপি আবিষ্কৃত হইবার পূর্ব্বে তাঁহারা যে কি কার্য্য করিতেন তাহা জানা ছিল না। এই চিরাতদত্ত কর্ত্তৃক নিযুক্ত বেত্রবর্ম্মা নামক কুমারামাত্য তখন কোটীবর্ষ বিষয়ের শাসনকর্ত্তা ছিলেন। পুণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তি এবং কোটীবর্ষ বিষয় ইহার পূর্ব্বে প্রথম মহীপালদেবের বাণগঢ়ে আবিষ্কৃত তাম্রশাসন হইতে পরিচিত ছিল। প্রথম মহীপালদেবের রাজ্যকাল হইতে লক্ষ্মণসেনদেবের রাজ্যকাল পর্য্যন্ত দিনাজপুরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসনসমূহে ভুক্তি ও বিষয়ের এই নামই পাওয়া যায়। দামোদরপুরে আবিষ্কৃত তাম্রলিপি দ্বারা প্রমাণ হইতেছে যে, বরেন্দ্রভূমির উত্তরাংশ সার্দ্ধ সহস্ৰ বৎসর পূর্ব্বেও কোটীবর্ষ নামে পরিচিত ছিল এবং গঙ্গার উত্তর তীরস্থ ভূভাগ পুণ্ড্রবর্দ্ধন আখ্যায় অভিহিত ছিল। দামোদরপুরের প্রথম তাম্রলিপি হইতে জানা যায় যে কর্প্পটিক নামক এক ব্রাহ্মণ কুমারামাত্য বেত্রবর্ম্মা, নগরশ্রেষ্ঠী ধৃতিপাল, সার্থবাহ বন্ধুমিত্র, প্রথমকুলিক ধৃতিমিত্র, প্রথমকায়স্থ শাম্বপাল প্রমুখ কর্ম্মচারিগণকে এক কুল্যবাপমাপের “অপ্রদা প্রহত খিল” ভূমি তিন দীনার মূল্যে ক্রয় করিবার জন্য আবেদন করিয়াছিলেন এবং উক্ত বিক্রয়ের আদেশ এই তাম্রশাসনদ্বারা লিপিবদ্ধ হইয়াছে[১]। ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে স্বৰ্গীয় পণ্ডিত ভগবানলাল ইন্দ্রজী যমুনাতীরে, এলাহাবাদ জেলায়
- ↑ Epigraphia Indica Vol. XV. pp. 130-31.