পাঠক[১] ও জন আলান[২] বলেন যে, চন্দ্রপ্রকাশ শব্দ কুমারগুপ্তের বিশেষণ মাত্র। প্রথম কুমারগুপ্তের রাজ্যের শেষভাগে পুশ্যমিত্রীয় ও হূণ যুদ্ধে রাজভাণ্ডার শূন্য হইলে, সম্রাট্ তাম্রমিশ্রিত সুবর্ণমুদ্রা ও তাম্রের উপরে রজতের ক্ষীণাবরণযুক্ত রৌপ্যমুদ্রা প্রচলন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন[৩]।
মগধ ও বঙ্গের নানাস্থানে মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমারগুপ্তের সুবর্ণ-মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে, এই সকল সুবর্ণমুদ্রা পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে বিভক্ত হইতে পারেঃ–
(১) এক পৃষ্ঠে ধনুর্ব্বাণহস্তে রাজমূর্ত্তি ও অপর পৃষ্ঠে লক্ষ্মীমূর্ত্তি আছে। হুগলী জেলার জাহানাবাদ মহকুমার মাধবপুর গ্রামে এই জাতীয় তিনটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৪]। হুগলী জেলার মহানাদ গ্রামে এই জাতীয় আর একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল, ইহা এখন কলিকাতার চিত্রশালায় আছে[৫]। কনিংহাম গয়া জেলায় এই জাতীয় একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কার করিয়াছিলেন, এই মুদ্রাটি অতি নিকৃষ্ট সুবর্ণে মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছিল[৬]। ওয়ারেন্ হেষ্টিংসের শাসনকালে কালীঘাটে দুই শত
- ↑ Indian Antiquary, 1911, p. 170.
- ↑ British Museum Catalogue of Indian Coins, Gupta dynasties, p. xlii, note 3.
- ↑ Ibid, p. xcvi.
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, 1884, p. 152.
- ↑ Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1882, p. 91; Journal of the Royal Asiatic Society, 1893. p. 116.
- ↑ Ibid, 1889. p. 97.