গুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। স্কন্দগুপ্ত যৌবরাজ্যে পুশ্যমিত্রীয় ও হূণগণকে পরাজিত করিয়া পিতৃরাজ্য রক্ষা করিয়াছিলেন। কথিত আছে যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত পিতৃকুলের বিচলিতা রাজলক্ষ্মী স্থির করিবার জন্য রাত্রিত্রয় ভূমিশয্যায় অতিবাহিত করিয়াছিলেন। প্রথমবার পরাজিত হইয়া হূণগণ উত্তরাপথ আক্রমণে বিরত হয় নাই, প্রাচীন কপিশা ও গান্ধার অধিকার করিয়া হূণগণ একটি নূতন রাজ্যস্থাপন করিয়াছিল। হূণরাজ তোরমাণ পঞ্চনদ প্রদেশে মহীশাসক সম্প্রদায়ের বৌদ্ধাচার্য্যগণের জন্য একটি সঙ্ঘারাম নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। রোট্ট সিদ্ধবৃদ্ধির পুত্র রোট্ট জয়বৃদ্ধি কর্ত্তৃক এই সঙ্ঘারাম নির্ম্মিত হইয়াছিল[১]। অনুমান হয় যে, স্কন্দগুপ্তের রাজ্যভিষেককালে পঞ্চনদে হূণজাতির নূতন রাজ্য স্থাপিত হইয়াছিল। সৌরাষ্ট্রে মৌর্য্যবংশীয় সম্রাট্ চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে গিরিনগরের অনতিদূরে অবস্থিত পর্ব্বতোপত্যকায় প্রাচীর নির্ম্মাণ করিয়া সৌরাষ্ট্রের শাসনকর্ত্তা বৈশ্যজাতীয় পুষ্যগুপ্ত সুদর্শন হ্রদের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র অশোকের রাজত্বকালে প্রাদেশিক শাসনকর্ত্তা তুষাষ্ফ কর্ত্তৃক এই হ্রদের পয়ঃপ্রণালী নির্ম্মিত হইয়াছিল। ৭২ শকাব্দে (১৫০ খৃষ্টাব্দে) সৌরাষ্ট্রের শকজাতীয় মহাক্ষত্রপ রুদ্রদামের রাজত্বকালে প্রবল ঝটিকায় সুদর্শন হ্রদের পাষাণনির্ম্মিত প্রাচীর ধ্বংস হইয়া যায় এবং রুদ্রদামের আদেশে তাঁহার অমাত্য সুবিশাখ কর্ত্তৃক পুনর্নির্ম্মিত হইয়াছিল[২]। ১৩৬ গৌপ্তাব্দে সুদর্শন হ্রদের পাষাণ-নির্ম্মিত প্রাচীর জলবৃদ্ধি ও ঝটিকার জন্য পুনরায় ধ্বংস হইয়াছিল। এই সময়ে পর্ণদত্ত সৌরাষ্ট্রের শাসনকর্ত্তা ছিলেন, তাঁহার পুত্র চক্রপালিত ১৩৭ গৌপ্তাব্দে (৪৫৬ খৃষ্টাব্দে) শতহস্ত দীর্ঘ ও প্রায়
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।