বারাণসীর নিকটে সারনাথে তিনটি লিপিযুক্ত বুদ্ধমূর্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছিল, ইহার মধ্যে একটির পাদপীঠে যে শিলালিপি আছে, তাহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, কুমারগুপ্ত নামক একজন রাজা ১৫৪ গৌপ্তাব্দে (৪৭২-৭৩ খৃঃ অব্দ) সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন[১]। শিলালিপিতে এই কুমারগুপ্তের বংশপরিচয় নাই কিন্তু যুক্তপ্রদেশের গাজীপুর জেলায় ভিটরী গ্রামে আবিষ্কৃত একটি রাজকীয় মুদ্রা (শিল) আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, স্কন্দগুপ্তের পরে তাঁহার ভ্রাতা পুরগুপ্তের পৌত্র কুমারগুপ্ত সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন[২]। ভিটরী গ্রামে আবিষ্কৃত রাজকীয় মুদ্রার কুমারগুপ্তই যে সারনাথে আবিষ্কৃত শিলালিপির কুমারগুপ্ত, তাহার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ আবিষ্কৃত হয় নাই কিন্তু সারনাথের শিলালিপির কুমারগুপ্ত যে ভিন্ন ব্যক্তি সে বিষয়েরও কোন প্রমাণ নাই সুতরাং প্রমাণাভাবে উভয় লিপির কুমারগুপ্ত অভিন্ন বলিয়া গ্রাহ্য হইতে পারে। অধ্যাপক কাশীনাথ বিশ্বনাথ পাঠক প্রমুখ কয়েকজন পণ্ডিত এই মত গ্রহণ করেন নাই[৩]। তাঁহাদিগের মতামতের জন্য পরিশিষ্ট গ দ্রষ্টব্য।
সারনাথে আবিষ্কৃত শিলালিপি হইতে প্রমাণ হইতেছে যে স্কন্দগুপ্তের রাজ্যান্ত হইতে ১৫৪ গৌপ্তাব্দের পূর্ব্বে গুপ্তরাজবংশের তিনজন সম্রাট সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন। স্কন্দগুপ্তের কনিষ্ঠ ভ্রাতা পুরগুপ্ত সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন কারণ ভিটরী গ্রামে আবিষ্কৃত রাজকীয়