পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ $్సరి কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল, এই সময়ে সূৰ্য্যবংশীয় প্রতাপরুদ্রদেব উড়িষ্কার অধিপতি ছিলেন। মাদলা পাজী অনুসারে ইসমাইল গাজীর অভিযানের সময়ে প্রতাপরুদ্রদেব রাজ্যের দক্ষিণাংশে ছিলেন, তিনি উত্তরাভিমুখে অগ্রসর হইলে মুসলমান সেনাপতি হুগলী জেলায় মন্দারণ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । প্রতাপরুদ্র মন্দারণ দুর্গ অবরোধ করিয়াছিলেন, কিন্তু গোবিন্দ বিদ্যাধর নামক র্তাহার একজন প্রধান কৰ্ম্মচারী মুসলমান সেনার সহিত যোগদান করায় তিনি প্রত্যাবর্তন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেনঃ “ । বৃন্দাবনদাস-রচিত চৈতন্য-ভাগবতে মুসলমানসেনা কর্তৃক উড়িষ্যার দেবমন্দির ও দেবমূৰ্ত্তি-সমূহের বিনাশের বিবরণ অনেক স্থলে লিপিবদ্ধ হইয়াছেঃখ । এতদ্বতীত সুলতান আলা-উদ্দিন হোসেন শাহ কর্তৃক উড়িষ্ঠা আক্রমণের অপর কোন সংবাদ অদ্যাবধি জানিতে পারা যায় নাই । - রিয়াজ-উস্-সালাতীন অনুসারে উড়িয়া আক্রমণের পরে হোসেন শাহ আসাম দেশ জয়ের উদ্যোগ করিয়াছিলেন । তিনি কামরূপ ও কামত প্রভৃতি রাজ্যের রূপনারায়ণ, মালকুমার, লক্ষ্মণ গোসাই প্রভৃতি রাজগণকে পরাজিত করিয়া বহু অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিলেন । আসামের রাজা হোসেন শাহ কর্তৃক পরাজিত হইয়া পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন.। হোসেন, শাহ র্তাহার পুত্রকে নবজিত রাজ্য-রক্ষার্থ নিযুক্ত করিয়া বঙ্গদেশে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন । বর্ষাকাল আসিলে সমস্ত পথঘাট জলে ভাসিয়া গিয়াছিল, এই সময়ে আসামরাজ পাৰ্ব্বত্য-প্রদেশ হইতে নির্গত হইয়া হোসেন শাহের পুত্রের সেনা আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং তাহাদিগের শিবিরে খাদ্যাগমনের পথরোধ করিয়া অবশেষে মুসলমান সেনাকে পরাজিত করিয়াছিলেন , । গোলাম হোসেন যাহা একটি অভিযানরূপে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা প্রকৃতপক্ষে পঞ্চত্রিংশদ্বর্যব্যাপী যুদ্ধ। আহম্ ভাষায় লিখিত বুরঞ্জী অনুসারে ১৪৯৮ খৃষ্টাব্দে গৌড়ীয় মুসলমান সেনা কামতাপুরের খোন-রাজ্য আক্রমণ (*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. LXIX, 1900, pt. I, p. 186. (ev) যে হুসেল-সাহ! সৰ্ব্ব উড়িয়ার দেশে। দেবমূৰ্ত্তি ভাঙ্গিলেক দেউল-বিশেষে । —চৈতন্য ভাগবত, অতুলকৃষ্ণ গোস্বামি-সম্পাদিত, অস্ত্য খণ্ড, চতুর্থ অধ্যায়, পৃঃ ৪২৬। (৫৭) রিয়াজ-উস-সালাতীন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ১৩২-৩৩। । ১৩-দ্বিতীয় ভাগ