পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Co বাঙ্গালার ইতিহাস তীরভূক্তিতে সারণ জেলার ইসমাইলপুর গ্রামে একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তদনুসারে ৯০৬ হিজরার শাবান মাসে ( মার্চ ১৫০১ খৃষ্টাব্দে ) মজলিস্-উল-মজালিস্ উপাধিধারী জনৈক সন্ত্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক একটি মসজিদ নির্মিত হইয়াছিল ৮ং মালদহে ইংরাজ-বাজারের থানার নিকটে ওয়েষ্টমেকটু একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত করিয়াছিলেন, তদনুসারে কামরূপ ও কামতাবিজয়ী আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ ৯০৭ হিজরার রমজান মাসের প্রথম দিবসে (১০ই মার্চ ১৫০২ খৃষ্টাৰে ) একটি বিদ্যালয় নিৰ্মাণ করাইয়াছিলেন” । “টাকার বল্পীপুর পরগণার মাচাইন গ্রামে একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তদনুসারে ৯০৭ হিজরায়, জমাদি-উল-আউয়ল মাসের দ্বাবিংশ দিবসে (৩রা ডিসেম্বর ১৯০১ খৃষ্টাব্দে) আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ একটি মসজিদ নিৰ্মাণ করাইয়াছিলেন । ১৮৭০ খৃষ্টাকে ভূতপূৰ্ব্ব ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খ্ৰীযুক্ত রাসবিহারী বসু পাটনা জেলার বিহার মহকুমায় বোনহারা গ্রামে একখানি শিলালিপি আবিষ্কার করিয়াছিলেন। তদনুসারে ৯০৮ হিজরার জিলকাদা মাসে ( ১৫০২ খৃষ্টাবো, জুনমাসে) আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ কর্তৃক একটি জামী মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ৮৫ । গৌড়ে কদম্ রসূল বা কদম শরীফের নিকটে মেজর ফ্রাঙ্কলিন একখানি শিলালিপি দেখিয়াছিলেন, তদনুসারে সুলতান আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ কর্তৃক ৯০৯ হিজরায়, মহরম মাসের দ্বাবিংশ দিবসে ( ১৫০৩ খৃষ্টাব্দে ) একটি তোরণ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল৮৬ । বিহার প্রদেশে সারণ জেলায় চেরাণ গ্রামে একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তদনুসারে ৯০৯ হিজরায় (১৫০৩-৪ খৃষ্টাব্দে ) আলাউদ্দীন হোসেন শাহ কর্তৃক একটি জামী মসজিদ নির্শিত হইয়াছিল ৮৭ ৷ (v*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. XLIII, 1874, pt. I, p. 304, mote. (re) Ibid, p. 303, (vs) Ibid, Vol. XLII, 1873, pt. I, p. 293. (re) Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1870, p. 247. (vo) Journal of a Rout from Rajemehul to Gour, A. D. 181011, pp. 5-6. (**) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. 3{LIII, 1874, pt. I, p. 304.