পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۱۲ به ২১২ বাঙ্গালার ইতিহাস তাহাদিগকে প্রত্যাবর্তন করিতে বাধা করিয়াছিল। আহমৃগণ একবার স্বর্গের বাহিরে আসিয়া মুসলমানগণকে আক্রমণ করিয়াছিল, মুসলমান সেনার অশ্বারোহিগণ পরাজিত হইলে কামানের বলে মুসলমানগণ আহমৃগণকে পরাজিত করিয়াছিলেন ২ । ১৫৩৩ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে মুসলমান নৌবহর আহমৃগণ কর্তৃক পরাজিত হইয়াছিল। মুসলমান সেনাপতি বঙ্গাল ও তাজ্ব (? তাজ-উদ্দীন) নিহত হইয়াছিলেন। বাইশখানি জাহাজ এবং বহু কামান মুসলমান সেনার হস্তচ্যুত হইয়াছিল। পরাজিত তৰ্ব্বক হোসেন ধার সাহায্যে ডিক্রাই নদীর মুখে স্কন্ধাবার স্থাপন করিয়াছিলেন এবং আহম্সেনা নদীর পরপারে শিবিরস্থাপন করিয়াছিল। কয়েক মাস নিশ্চেষ্ট থাকিয়া আহমৃগণ মুসলমানগণকে আক্রমণ করিয়া পরাজিত করিয়াছিল। ভরালি নদীর নিকটে শেষ যুদ্ধ হইয়াছিল ; মুসলমান সেনার কতকগুলি হস্তী গভীরপঙ্কে নিমজ্জিত হইয়াছিল এবং সেইজন্য মুসলমান সৈন্য-বিন্যাস বিশৃঙ্খল হইয়াছিল। এই যুদ্ধে তৰ্ব্বক পরাজিত ও নিহত হইয়াছিলেন । আহম্ সেনাপতি করতোয় তীর পর্য্যন্ত পরাজিত মুসলমানগণের পশ্চাদ্ধাবন করিয়াছিলেন এবং করতোয় তীরে একটি মন্দির নির্মাণ করাইয়াছিলেন ও একটি পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন। প্রত্যাবর্জনের পূৰ্ব্বে আহম্ সেনাপতি গৌড়ে দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। গৌড়েশ্বর আহম্রাজের জন্য রাজবংশজাত একটি কন্য প্রেরণ করিয়াছিলেন। এই কারণে স্বার এডওয়ার্ড গেট অনুমান করিয়াছেন যে, মুসলমানগণ কর্তৃক শেষোক্ত আহম্রাজ্য আক্রমণ গৌড়েশ্বরের আদেশে হয় নাই, গৌড় রাজ্যের কোন প্রধান স্বেচ্ছায় আসাম আক্রমণ করিয়াছিল** । পরাজিত হইয়া মুসলমান সেনা যখন পলায়ন করিতেছিল, তখন হোসেন খ্ৰী ধৃত ও নিহত হইয়াছিলেন। অষ্টবিংশতিটি হস্তী, সাৰ্দ্ধ অষ্টশত অশ্ব এবং কামান ও বস্তৃক আহমৃগণের হস্তগত হইয়াছিল। তৰ্ব্বকের মস্তক চরাইদেও পৰ্ব্বতশীর্ষে সমাহিত হইয়াছিল ৫৪ ৷ (**) Ibid, p. 90. (*) Ibid, p. 91. (es) Ibid., p. 82.