পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ S& সুতরাং মধুসেন ১২৮৯ খৃষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। আইন-ই-আকবরীতে ইহার নাম নাই, কারণ উক্ত গ্রন্থে কেশবসেনের পূর্বে “মাংসেনের" নাম দেখিতে পাওয়া যায়, তিনি সম্ভবতঃ মাধবসেন ; কিন্তু কেশবসেনের পরে সদাসেন বা স্বরসেন এবং নেজ ব্যতীত অন্য কোন রাজার নাম নাই । ৬৮২ হিজরায়, সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবন, বাঙ্গালার বিদ্রোহী শাসনকর্তা মুগীসৃউদ্দীন তোঞ্জলকে পরাজিত ও নিহত করিয়াছিলেন, এই সময়ে দমুজরায় নামক এক ব্যক্তি সুবর্ণগ্রাম বা পূৰ্ব্ববঙ্গের অধীশ্বর ছিলেন। এই দনুজরায় সম্ভবতঃ গৌড়ীয় কুলশান্ত্রের দনুজমাধব বা দনেজামাধব এবং আইন-ই-আকবরীর রাজা নেজা। মধুসেন ও দনুজরায় বা দনুজমাধর ব্যতীত সুবর্ণগ্রাম বা পূর্ববঙ্গের অপর কোনও হিন্দু রাজার অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমণ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই । পঞ্জাবের উত্তর পূৰ্ব্ব সীমায়, হিমাচলের ক্রোড়দেশে অবস্থিত কতকগুলি পাৰ্ব্বতা রাজ্যের অধীশ্বর এখনও সেনরাজবংশসস্তুত বলিয়া পবিচয় দিয থাকেন। মণ্ডী ও সুকেত রাজ্যের কুলপঞ্জিকা অনুসারে, লক্ষ্মণসেনের বংশধর সুরসেন ১২৫৯ বিক্রম সম্বৎসরে মুসলমানগণ কর্তৃক গৌড়দেশ হইতে তড়িত হইয় প্রয়াগে আশ্রয় গ্রহণ করিয়ছিলেন। সুরসেনের পুত্র রূপসেন, পিতার মৃত্যুর পর প্রয়াগ পরিত্যাগ করিয়া পঞ্জাবে রূপর নামক স্থানে একটি নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। রূপসেন বাঙ্গালার সেনরাজবংশসস্তুত কিনা এবং মুসলমান বিজিত গৌড়দেশ হইতে পলায়ন করিয়া সুলতান কৃতব-উদ্দীন ইবকের রাজ্যভুক্ত, প্রয়াগে গোঁড়রাজের আশ্রয় গ্রহণ সম্ভব কিনা তাহা বিবেচ্য। কিন্তু এই সকল তথ্যের সত্যানুসন্ধান এখনও সম্ভব নহে, কারণ এই বিষয় সম্বন্ধে ঐতিহাসিক প্রমাণাভাব। পঞ্জাব গেজেটায়র ও শ্ৰীমতী সরলা দেবী সঙ্কলিত বিবরণ অনুসারে, কাশ্মীর, পুঞ্চ, সুকেত, মণ্ডী ও জুঙ্গার বর্তমান অধীশ্বরগণ গোঁড়রাজ রূপসেনের বংশজাত । -