দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ২৯ ইচ্ছায় সেনা সংগ্ৰহ করিলেন। লক্ষ্মণাবতী ও হিমালয়ের মধ্যবর্তী প্রদেশে কোচ, মেচ ও থারু নামক তিনটি জাতি বাস করে ; মেচ জাতির একজন নায়ক বখতিয়ারের হস্তে পতিত হইয়াছিলেন। বখতিয়ার তাহাকে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়া তাহার আলী নামকরণ করিয়াছিলেন । এই আলী মেচ বখতিয়ারের তিব্বত অভিযানে তাহার পথপ্রদর্শক হইয়াছিলং • । তবকাৎ-ই-নাসির অনুসারে দশ সহস্র২), রিয়াজ-উস্-সালাতীন অনুসারে দশ বা দ্বাদশ সহস্র২২ ; তবকাং-ই-আকবরী২৩, ফেরেশতা২৪ ও বদাওনী২৫ অনুসারে দ্বাদশ সহস্ৰ অশ্বারোহী লইয়া বখতিয়ার তিব্বত বিজয়ে যাত্রা করিয়াছিলেন । আলী মেচ তাহাকে বৰ্দ্ধনকোট২৬ নগরে আনিয়া উপস্থিত করিয়াছিল। বৰ্দ্ধনকোটের সম্মুখে গঙ্গার তিন চারিগুণ প্রশস্ত একটি নদী আছে । তবকৎ-ই-নাসিরী ও তবকাৎ-ই-আকবরী অনুসারে এই নদীর নাম বেগমতী’ , রিয়াজ-উস্-সলাতন অনুসারে ইহার নাম নমকৃদি২৮, বদাওনী অনুসারে ইহার নাম ব্রহ্মণপুল** অর্থাৎ ব্রহ্মপুত্র এবং ফেরেশতা অনুসারে ইহার নাম তিমুকরিও । এই নদীর অবস্থিতি লইয়া বহু মতভেদ আছে । কেহ মনে করেন ইহা ব্রহ্মপুত্র, কেহ মনে করেন ইহা তিস্তা বা ত্রিস্রোতা, কারণ বৰ্দ্ধনকোট এখনও বগুড়া জিলায় বিদ্যমান আছে এবং বৰ্দ্ধনকেটের সম্মুখে করতোয় ব্যতীত অপর কোনও বৃহৎ নদী নাইও । বখতিয়ার এই নদীর (২০) তবকৎ-ই-নাসিরী, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৫৬০ ৷ (২১) લે (২২) রিয়াজ-উস-সালাৰ্তান, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৬৪ । (২৩) তবকৎ-ই-আকবরী, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৫২। (২৪) তারিখ-ই-ফেরেশতা, পুঃ ২৯৪ । (২৫) মন্তখব-উৎ-তওয়ারিখ , ইংরাজী অনুবাদ, প্রথম ভাগ, পৃঃ ৮৩। (২৬) শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করেন যে তবকাৎ-ই-নাসিরীতে যে বর্ধনের নাম আছে, তাহা প্রাচীন পৌণ্ড বৰ্দ্ধন-সাহিত্য, ১৩২০, পৃঃ ৩১২ ৷ (২৭) তবকৎ-ই-নাসিরী, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৫৬১, তবকাৎ-ই-আকবরী, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৫২। (২৮) রিয়াজ-উস-সালাতন, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৬৫ ৷ (২৯) মন্তখব-উৎ-তওয়ারিখ, ইংরাজী অনুবাদ, প্রথম ভাগ, পৃঃ ৮৪। (৩০) তারিখ-ই-ফেরেশতা, প্রথম ভাগ, পৃঃ ২৯৪ (৩১) সাহিত্য, ১৩২০, পৃঃ ৩১১-১২।
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।