পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ২৩ উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত নেকৃমৰ্দ্দন নামক স্থানে একটি মেলায় বহু টাঙ্গন অশ্ব বিক্রীত হইয়া থাকে৩৬ । যে নগর হইতে বখতিয়ার তুর্কী অশ্বারোহিগণের ভয়ে পলায়ন করিয়াছিলেন, তাহ দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত হইতে পারে না, কারণ, দিনাজপুর হইতে গৌড়ে প্রত্যাবর্তনের সময়ে কামরূপের দিকে গমনের কোনও প্রয়োজন দেখিতে পাওয়া যায় না । কামরূপে ফিরিয়া মহম্মদ বখতিয়ার দেখিলেন যে, সেতুর দুইটি খিলান ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ; তিনি যে দুইজন আমীরকে সেতু রক্ষার জন্য নিযুক্ত করিয়াছিলেন, তাহারা বিবাদ করিয়া সেতু পরিত্যাগ করিয়াছেন, সেই অবসরে কামরূপদেশের হিন্দুরা আসিয়া সেতুর দুইটি খিলান ভাঙ্গিয়া দিয়াছে৩৭ । ফেরেশতা বলেন যে, কামরূপবাসিগণ আমীরদ্বয়ের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া, সেতুর দুইটি খিলান ভাঙ্গিয়া দিয়াছিল ৩৮ । পার হইবার কোন উপায় নাই দেখিয়া বখতিয়ার নদীতীরে স্কন্ধাবার স্থাপন করিয়া, নৌকা ও ভেলা নিৰ্ম্মাণের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । সেই স্থানে একখানিও নৌকা পাওয়া গেল না। তখন বখতিয়ার নিকটস্থিত একটি উচ্চ দেবমন্দিরে সসৈন্য আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কামরূপরাজ, মুসলমান সৈন্যের দুর্দশার কথা অবগত হইয়া সেনা প্রেরণ করিয়া মুসলমানগণকে সেই মন্দিরের মধ্যে অবরোধ করিলেন । কামরূপবাসিগণ সেই মন্দিরের চারিদিকে বহু বংশখণ্ডের দ্বারা প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল ; মুসলমান সেনা যখন দেখিল যে, তাহাদের প্রত্যাবর্তনের পথ রুদ্ধ হইতেছে, তখন তাহারা প্রাচীরের একস্থান আক্রমণ করিয়া তাহ ভাঙ্গিয়া বাহির হইয়া পড়িল । দুই একজন অশ্বারোহী অশ্ব সমেত নদীর জলে নামিল । তাহারা কিয়দর গমন করিলে তীরের লোক চীৎকার করিয়া বলিল যে, পথ মিলিয়াছে। তখন সমস্ত মুসলমান সেনা জলে নামিল, সম্মুখে গভীর জল ছিল, বখতিয়ার ও কয়েকজন অশ্বারোহী বঙ্গীত সমস্ত মুসলমান সেনা নদীর জলে প্রাণত্যাগ করিল। নদীর পরপারে অালী মেচের আত্মীয় স্বজন কোন স্থানে অপেক্ষা করিতেছিল, তাহারা অগ্রসর হইয়া আসিল । তাহাদিগের সাহায্যে বখতিয়ার ও তাহার (৩৬) রিয়াজ-উস-সালাতীন, ইংরাজী অনুবাদ, পৃঃ ৬৬, পাদটীকা ৩। (०१) उवक९-३-भानिद्री, रेरबाची जबबांग, श्रृं: ०७० ।। (৬৮) তারিখ-ই-ফেরেশতা, পৃঃ ২৯৪ । (es) उवका९-३-मांनिद्री, रेरबांची चवृषाए, शृः ४७०-१२ ।।