পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శలిం বাঙ্গালার ইতিহাস লক্ষ মুদ্রাও প্রদান করিয়াছিলেন এবং অলতমশের নামে মুদ্রাঙ্কন করাইতে ও খোংবা পাঠ করাইতে স্বীকার করিয়াছিলেন । অলতমশ দিল্লীতে প্রত্যাবর্তন করিলে গিয়াসূ-উদ্দীন লখনৌর্তী হইতে বিহার আক্রমণ ও অধিকার করিয়াছিলেন । অলতমশ প্রত্যাবর্তন কালে ইজুদ্দীন জানীকে বিহারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়াছিলেন। গিয়াস-উদ্দীন কর্তৃক তাড়িত হইয়া ইজ্জ্বদীন জানী, সম্ভবতঃ, আউধের শাসনকৰ্ত্ত অলতমশের পুত্ৰ নাসিরউদ্দীন-মহ মুদের আশ্রয়ে গমন করিয়াছিলেন। ইজ্জ্বদীনের অনুরোধে মহমুদ ৬২৪ হিজরায় অর্থাৎ ১২২৬ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মণাবতী আক্রমণ করিয়াছিলেন । এই সময়ে লক্ষ্মণাবতী অরক্ষিত রাখিয়া সুলতান গিয়াস্-উদ্দীন কামরূপে ও বঙ্গদেশে (পূর্ববঙ্গে) যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন, নাসির-উদ্দীন মহ মৃদু অল্পায়াসে লক্ষ্মণাবতী অধিকার করিলেন । এই সংবাদ পাইয়া সুলতান গিয়াস্-উদ্দীন ইউয়জ, কামরূপ ও বঙ্গদেশ হইতে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন এবং নাসির-উদ্দীন মহমুদের সহিত র্তাহার যুদ্ধ হইয়াছিল। সেই যুদ্ধে পরাজিত হইয়া গিয়াসউদ্দীন ইউয়জ, ও সমস্ত খলজ আমীর নাসিরূ-উদ্দীনের হস্তে বন্দী হইয়াছিলেন এবং সুলতান গিয়াসূ-উদ্দীন নিহত হইয়াছিলেন । সুলতান গিয়াসূ-উদ্দীন ইউয়জ গৌড়দেশে মুসলমান অধিকার বিস্তৃত করিয়াছিলেন। তাহার সময়ে, গৌড়ীয় মুসলমান অধিকারের দুইটি অংশ ছিল। গঙ্গার পশ্চিমদিকের অংশ রাঢ় ও পূৰ্ব্বদিকের অংশ বরিদ বা বরেন্দ্র নামে পরিচিত ৬৮ । সম্ভবতঃ গিয়াসূ-উদ্দীনের সময়ে উত্তর রাঢ় সৰ্ব্বপ্রথমে মুসলমান কর্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল। গিয়াস্-উদ্দীন, লক্ষ্মণাবতী হইতে পশ্চিমে রাঢ়দেশে, লখনোর নগরের দ্বার পর্যন্ত এবং পূৰ্ব্বে দেবকোট পর্য্যন্ত দশদিনের পথ পরিমাণ একটি উচ্চ রাজপথ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । বর্ষাকালে এই সকল স্থান জলে ও কর্দমে পরিপূর্ণ হইয়া যাইত এবং নৌকা ব্যতীত গমনাগমনের অপর কোন উপায় থাকিত না । গিয়াস-উদ্দীনের রাজত্বকালে লক্ষ্মণাবতীর চতুৰ্দ্দিকস্থিত রাজ্যসমূহের অধিপতিগণ র্তাহার অধীনতা স্বীকার করিয়াছিলেন এবং সমস্ত গৌড়মণ্ডল তাহার অধিকারভুক্ত (ঙ্গ তৎকাৎ-ই-নাসিরী, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৫৯ও । (৬৭) তবকৎ-ই-নাসির, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৫৯৫ । કે, পৃঃ ৫৮৪-৫৮৬ । (دهانه) (৬৯) তবকাৎ-ই-নাসিরী, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৫৮৬।