পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ Bq হইয়াছিল"। রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে সৈফ -উদ্দীন ইবক তিন বৎসর লক্ষ্মণাবতী শাসন করিয়াছিলেন এবং বিষ-প্রয়োগে তাহার মৃত্যু হইয়াছিল** । আলাউদ্দীন জানী ও সৈফ-উদ্দীন ইবকের শাসনকাল সম্বন্ধে রিয়াজ-উস্সালাতীনের উক্তি বিশ্বাসযোগ্য নহে, কারণ, উক্ত গ্রন্থ অনুসারে, আলাউদ্দীন জানী ও সৈফ-উদ্দীন ইবকৃ, উভয়ে তিন বৎসর করিয়া ছয় বৎসর লক্ষ্মণাবতী শাসন করিয়াছিলেন ; কিন্তু অলতমশ, ৬২৮ হিজরার রজব মাসে আলাউদ্দীন জানীকে লক্ষণাবতীর শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং ৬৩১ হিজরায় সৈফ -উদ্দীন ইবকের মৃত্যু হইয়াছিল। এই বৎসরের মধ্যে যে দুই জন শাসনকর্তার শাসনকাল আবদ্ধ, তাহারা কি প্রকারে প্রত্যেকে তিন বৎসর লক্ষ্মণাবতী শাসন করিতে পারেন তাহা বুঝিতে পারা যায় না। লেন-পুল ( LanePoole) ও রাইট (wright ) অনুমান করেন যে, আলাউদ্দীন জানী ৬২৭ হিজরায় লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হইয়া, সেই বৎসরই পদচ্যুত হইয়াছিলেন, এবং সৈফ -উদ্দীন ইবকৃ ৬২৭ হইতে ৬৩১ হিজরা পর্য্যন্ত লক্ষ্মণাবতী শাসন করিয়াছিলেনং । ৬২৮ হিজরার পূৰ্ব্বে যখন লক্ষণাবতীতে বিদ্রোহ দমন হয় নাই তখন ৬২৭ হিজরায় আলাউদ্দীন জানীর লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তৃ’পদে নিয়োগ কি প্রকারে সম্ভবপর হইতে পারে ? সৈফ-উদ্দীন ইবকের শাসন কালে ৬৩০ হিজর (১৩৩২ খৃষ্টাব্দে ) লক্ষ্মণাবতীতে একটি কূপের উপরিস্থিত মন্দির সংস্কৃত হইয়াছিল। গৌড়ে আবিষ্কৃত একখানি আরবী ভাষায় লিখিত শিলালিপি হইতে এই কথা অবগত হওয়া যায় ২৩ ৷ ইহাই বাঙ্গলাদেশের আবিষ্কৃত সৰ্ব্ব প্রাচীন আরবী শিলালিপি। ইহাতে সুলতান শমস্-উদ্দীন, অলতমশের নাম এবং কংলগ্‌খ ইবক নামক একজন ভূতপূৰ্ব্ব শাসনকৰ্ত্তার নাম পাওয়া যায়। ৬৩০ হিজরার পূৰ্ব্বে কংলগৰ্থ ইবক নামক ভারতবর্ষের কোনও প্রদেশের শাসনকর্তার কথা কোনও ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় না । (২০) তবকাৎ-ই-নাসিরী, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৭৩২ । (২১) রিয়াজ-উস-সালাউীন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৭৭ ৷ \ss) H. N. Wright Catalogue of Coins in the Indian Museum, Vol. II pt. II. p. 130. (**) Cunningham, Report of the Archæological Survey of India, Vol. XV, p. 45, p1. XX; Epigraphia Indo-Moslemica, 1911—12, pp. 5-7.