পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ళ్సి খার সাক্ষাৎ পাইয়াছিলেন, এবং তাহার সহিত লক্ষ্মণাবতীতে আসিয়াছিলেন২১ । প্রাচীন উদগুপুর বা বর্তমান বিহার নগরে আবিষ্কৃত একখানি আরবী শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ৬৪০ হিজরায় ( ১২৪২ খৃষ্টাব্দে ) তোগ্রলখার শাসনকালে বিহারে একটি গৃহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, এই শিলালিপিতে কোষাধ্যক্ষ ( অলখাজন) মবারকু থার নাম আছে, এবং ইহাতে তোগ্রল, মুগীস্-উল-মুলুক-ওয়া-স-সালাতীন আবুল ফতে তোগ্রল নামে অভিহিত হইয়াছেনত- স্বগীয় ডাক্তার থিয়োডোর ব্লক্ (Theodor Bloch ) বলিতেন যে এই শিলালিপি ৬৪৬ হিজরায় উৎকীর্ণ হইয়াছিল । ইহা সম্ভব নহে, কারণ ৬৪৬ হিজরায় ( ১২৪৮ খৃষ্টাব্দে ) তোগ্রল লক্ষ্মণাবতীর শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন না । ৬৪১ হিজরায় জাজ নগরের রাজা লক্ষ্মণাবতী আক্রমণ করিয়াছিলেন। তাহার গতিরোধ করিবার জন্য, তোগ্রল তোগান ধা, উক্ত বৎসরের (১২৪৩ খৃষ্টাব্দের ) শওয়াল মাসে জাজনগর আক্রমণ করিবার উদ্দেশ্বে যাত্রা করিয়াছিলেন । এই অভিযানে মৌলানা মিনহাজ-উস্-সিরাজ তোগ্রলের সহিত যাত্রা করিয়াছিলেন । জিলকাদা মাসের ষষ্ঠ দিবসে শনিবারে, জাজনগর রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত কটাসিন দুর্গে উপস্থিত হইয়া তোগ্রল দুর্গ আক্রমণ করিয়াছিলেন। মুসলমান সৈন্য দুইটি পরিখা পার হইয়াছিল এবং স্বচ্ছন্দে জাজ নগরের হিন্দুসেনার নিকট হইতে কটাসিন দুর্গ অধিকার করিয়াছিল । মুসলমান পদাতিকসেন যুদ্ধ জয় করিয়া যখন আহার করিতেছিল সেই অবসরে জাজ নগরের হিন্দ্র সেনা ফিরিয়া আসিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়াছিল । কথিত আছে যে, জাজনগরের সৈন্যগণ বেত্রবনের আশ্রয়ে আত্মগোপন করিয়া প্রথমে পাচটি হস্তী অধিকার করিয়াছিল, এবং পরে তাহাদের দ্বিশত পদাতিক ও পঞ্চাশংজন অশ্বারোহী পশ্চাৎ হইতে মুসলমান সেনা আক্রমণ করায়, মুসলমানসেনা ছত্রভঙ্গ হইয়া পলায়ন করিয়াছিল। জাজনগরে পরাজিত হইয়া তোগ্রল লক্ষ্মণাবর্তীতে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন এবং তাহার মন্ত্রী শফ-উল-মুলুক আশারী ও কাজী জলাল-উদ্দীন কাসানীকে বহু উপঢৌকনের সহিত দিল্লীতে প্রেরণ করিয়া, (২১) তৰকাৎ-ই-নাসির ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৬৬৩। (ec) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old series, Vol. XLII, 1873, pt. I. p. 245.