পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

한 0 বাঙ্গালার ইতিহাস হইয়াছিলেন।৮ং । বাণীর গ্রন্থে কোন তারিখ নাই। রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে ৬৭৮ হিজরায় (১২৭৯ খৃষ্টাব্দে) তোগ্রল জাজনগর আক্রমণ করিয়াছিলেনও। সুতরাং ৬৭৮ হিজরার পূৰ্ব্বেতোগ্রল লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তানিযুক্ত হইয়াছিলেন । লক্ষ্মণাবতীর অধিকার প্রাপ্ত হইয়া তোগ্রল কামরূপ আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং কামরূপের কিয়দংশ আধিকার করিয়াছিলেন । ৬৭৮ হিজরায় তোগ্রল লক্ষ্মণাবতী হইতে জাজনগর অভিমুখে অগ্রসর হইয়াছিলেন এবং উক্ত প্রদেশের রাজাকে পরাজিত করিয়া বহু হস্তী ও ধনরত্ন অধিকার করিয়াছিলেন” । ইহার পরে কুমন্ত্রিগণের পরামর্শে তোগ্রল স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়া মুগাসূ-উদ্দীন উপাধি গ্রহণ করেন। বাণীর গ্রন্থানুসারে, বলবনের পঞ্চদশ বা ষোড়শ রাজ্যাঙ্ক পৰ্য্যন্ত লক্ষ্মণাবতী প্রদেশ শাস্ত ছিল সুতরাং ৬৭৯-৮০ হিজরী অর্থাৎ ১৩৮০-৮১ খৃষ্টাব্দের পরে তোগ্রল বিদ্রোহী হইয়াছিলেন । এই সময়ে মধ্য-এসিয়ার মরুবাসী মোঙ্গেলগণ বার বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়া সম্রাট গিয়াস্-উদ্দীন বলবনকে ব্যস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন । সম্রাটের জ্যেষ্ঠপুত্র মুলতানে বাস করিতেন এবং তাহার কনিষ্ঠ পুত্ৰও মোগলদিগের ভারতবর্ষ আক্রমণে বাধা প্রদানের জন্য পঞ্জাবে বাস করিতেন। সম্রাট গিয়াসউদ্দীন বলবেন তখন বৃদ্ধ হইয়া পড়িয়াছেন এবং মোগল আক্রমণ উপেক্ষা করিয়া তিনি অথবা তাহার পুত্ৰগণ কখনই লক্ষ্মণাবতীতে আসিতে পারিবেন না। তোগ্রলকে এই সকল কথা জানাইয়া কুমন্ত্রিগণ র্তাহাকে স্বাধীনতা অবলম্বন করিবার পরামর্শ দিয়াছিল এবং তদনুসারে তোগ্রল বিদ্রোহী হইয়াছিলেন। তোগ্রল স্বনামে খোৎবা প্রচার ও মুদ্রণ প্রচলন আরম্ভ করিলেন । তোগ্রলের বিদ্রোহ সংবাদ শুনিয়া সম্রাট গিয়াসূ-উদ্দীন বলবেন অত্যন্ত বিচলিত হইয়াছিলেন, কারণ তাহার ক্রীতদাসগণের মধ্যে তোগ্রল অত্যস্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন । জাজনগরের যুদ্ধে তোগ্রল যে সকল হস্তী বা ধনরত্ন পাইয়াছিলেন,তাহা তিনি দিল্লীতে প্রেরণ করেন নাইচণ্ড । সেই অর্থের দ্বারা তিনি লক্ষ্মণাবতী নগরের অধিবাসিগণকে এবং সৈন্যগণকে বশীভূত করিয়াছিলেন। বলবেন ভোগ্রলের ( Ibid, p. 112. AA DDBSBBSBBDDS DBD DBBBSB ggBBDSDBBBBStHHHH (vs) Elliot's History of India, Vol. III, p. 113. # (ve) Ibid, p. 112. (ve) Ibid, p. 113.