পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ૭૭ দক্ষিণাপথ পর্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল। ফিরোজ শাহের মৃত্যুর সময়ে খিলজিবংশীয় শেষ সম্রাট কতৃবৃ-উদ্দীন মবারক শাহের উজীর নাসির-উদ্দীন খসরু শাহকে বিনষ্ট করিয়া পঞ্জাবের শাসনকৰ্ত্তাগিয়াস-উদ্দীন তোগলক শাহ দিল্লীর সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন । সম্রাট জলাল-উদ্দীন ফিরোজ শাহ খিলজি বন্দীদিগকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত না করিয়া তাহাদিগকে লক্ষ্মণাবতী রাজ্যে মুক্তি দিতে আদেশ করিতেন, একবার প্রায় সহস্ৰ দণ্ডনীয় বন্দী লক্ষ্মণাবতী রাজ্যের সীমায় প্রেরিত হইয়াছিল’ ৷ জলাল-উদ্দীনের জামাতা ও ভ্রাতুষ্পুত্র আলা-উদ্দীন মহমুদ শাহ দক্ষিণাপথ আক্রমণ করিবার পূৰ্ব্বে লক্ষ্মণাবতী আক্রমণ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলেন ২ । মুসলমান ঐতিহাসিকগণের এই দুইটি উক্তি হইতে পাশ্চাত্য মুসলমানগণের গৌড়ীয় প্রাচ্য-মুসলমানরাজ্যের প্রতি সুগভীর ঘৃণা ও অবজ্ঞা বুঝিতে পারা যায়। শমস উদ্দীন ফিরোজ শাহের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহাব উদ্দীন, বগুড়া শাহ ফিরোজ শাহের মৃত্যুর পরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন কি না, তাহ স্থির করিবার কোন উপায় অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। সুলতান শমস্-উদ্দীন ফিরোজ শাহের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে অথবা শাহাব-উদ্দীন বগুড়া শাহের রাজ্যাভিষেকের অতি অল্পকালমধ্যে র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা গিয়াস-উদ্দীন, বহাদর লক্ষ্মণাবতী আক্রমণ করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণাবতী অধিকৃত হইলে শাহাবুউদ্দীন বগুড়া শাহও তাহার কনিষ্ঠভ্রাতা নাসির-উদ্দীন ইব্রাহিম্পলায়ন করিয়া গিয়াস-উদ্দীন তোগলকের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। ১৩২১ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মণবর্তী গিয়াস্-উদ্দীন বহদির শাহের অধিকারভুক্ত ছিলং। ইহার পরে নাসিরউদ্দীন বোধ হয় লক্ষ্মণাবতী পুনরধিকার করিয়াছিলেন। কারণ ৭২৪ হিজরায় ( ১৩২৪ খৃষ্টাব্দে ) সম্রাট গিয়াস-উদ্দীন তোগলকৃ যখন লক্ষ্মণাবতী আক্রমণ করিতে যাত্রা করিয়াছিলেন, তখন নাসির-উদ্দীন লক্ষ্মণাবতী হইতে তিরহুত বা তাঁরভুক্তিতে আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেনঃ বাণীর (৫১) জিয়া-উদ্দীন বাণী রচিত তারিখ-ই-ফিরোজ শাহী, পরস্ত ¤ (Biblio theca Indica) p, 189, (*) Elliot's History of India, Vol. III, p. 152. (*) Catalogue of Coins, in the Indian Museum, Calcutta, Vol. II, pt. II, 148, No. 15. - (es) Elliot's History of India, Vol. III, p.234.