পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চজ পজিছেজ وعوا প্রাচীন গুপ্তরাজবংশের সুবর্ণমুদ্রার সহিত তুলনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, দুই একটি বিষয়ে পার্থক্য থাকিলেও শশাঙ্কের মুদ্রার সহিত প্রাচীন গুপ্তবশের সুবর্ণমুদ্রার বিশেষ সাদৃশু আছে। প্রথমত: মুদ্রার দ্বিতীয় পৃষ্ঠে কমলাত্মিকী মূর্তি, দ্বিতীয়তঃ মুদ্রার প্রথম পৃষ্ঠে রাজার নাম লিখনের পদ্ধতি,গুপ্ত মুদ্রার সহিত শশাঙ্কের মুদ্রার তুলনা করিলে এই দুইটি সাদৃশু দেখিতে পাওয়া যায়। প্রাচীন গুপ্ত সম্রাটগণ ভাগবতমতাবলম্বী অর্থাৎ বৈঞ্চব ছিলেন ; কিন্তু শশাঙ্ক শৈব ছিলেন, সেই জন্তই বোধ হয় তাহার মুদ্রায় বৃত্ববাহন মহাদেবের মূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। অধিকা শ গুপ্তবংশীয় সম্রাটগণের মুদ্রায় রাজার নাম লিখনকালে একটি অক্ষরের নিয়ে আর একটি অক্ষর অঙ্কিত হইত, শশাঙ্কের মুদ্রাতেও এই লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায়। যশোহর জেলার মহম্মদপুর গ্রামে ও অজ্ঞাত স্থানে প্রাপ্ত যে দুইটি মুদ্র কলিকাতার চিত্রাশালায় আছে, তাহাদিগের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ষে খোদিতলিপি আছে, কোন পণ্ডিতের মতে তাহার প্রকৃত পাঠ নরেন্দ্রাদিত্য । ইহা যদি সত্য হয় তাহ হইলে নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্কের “আদিত্য” নাম ছিল । সমুদ্রগুপ্ত ব্যতীত অন্তান্ত গুপ্তরাজগণের এইরূপ আদিত্য নাম ছিল দেখিতে পাওয়া যায় ** i যথা :-চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য; চন্দ্রগুপ্ত স্বাদশীদিত্য ইত্যাদি | শশাঙ্কের রাজ্য ও র্তাহার বংশপরিচয় সম্বন্ধে যে সমস্ত প্রমাণ লিপিবদ্ধ হইল; তাহা হইতে অনুমান হয় যে তিনি মগধের গুপ্তবংশজাত ছিলেন এবং মহাসেনগুপ্তের পুত্র অথবা ভ্রাতু-পুত্র ছিলেন । মগধের গুপ্তরাজবংশ সম্ভবতঃ সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কনিষ্ঠপুত্ৰ গোবিন্দগুপ্ত হইতে উৎপন্ন। গুপ্তসাম্রাজ্যের শেষত্বশায় গুপ্তবংশের কোনও ব্যক্তি মালব অধিকার করিয়া একটি নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। মালবের গুপ্তরাজগণ খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভ পৰ্য্যন্ত মালৰে স্বীয় অধিকার অক্ষুন্ন রাখিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । তবে তাহার যশোধৰ্ম্মদেব অথবা প্রভাকরবদ্ধন ও হর্ষবন্ধন প্রভৃতি প্রবল রাজগণের অধীনতা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। প্রভাকরবর্ধন মালব রাজের কুমারগুপ্ত ও মাখৰগুপ্ত নামক পুত্রদ্ধয়কে মালব হইতে স্থান্ধীশ্বরে আনয়ন করিয়া তীহাদিগকে রাজ্যবন্ধন ও হর্ষবন্ধনের সঙ্গী নিযুক্ত করিয়াছিলেন “ । গ্রহবর্মানিহন্ত৷ (ss) Ibid, p. Iiii. (es) হৰ্ষচরিত, ৪র্থ উচ্ছ্বাস