পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ »:ፄ সেনবংশীয় অধীশ্বরের নাম পাশ্চাত্য কুলগ্রন্থে স্পষ্ট পাওয়া যায় না। এদিকে খামলবৰ্খা কোন কুলগ্রন্থে ‘শুরায়, আবার কোন কুলগ্রন্থে সেনাম্বয় বলিয়াই বর্ণিত ।” —বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, ব্রাহ্মণকাও, দ্বিতীয় ভাগ, পৃঃ ১৯ । পূৰ্ব্বোক্ত প্রমাণসমূহের উপর নির্ভর করিয়া, বেলাবো তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইবার পুৰ্ব্বে,শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু স্থির করিয়াছিলেন যে,শ্যামলবৰ্ম্ম সেনবংশীয় হেমন্তসেনের পৌত্র, বিজয়সেনের কনিষ্ঠ পুত্র ও বল্লালসেনের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। ভোজবৰ্দ্ধার বেলাবো তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইলে প্রমাণ হইল যে, বস্থজ মহাশয়ের পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্ত অসার এবং যে প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া তিনি এই সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন, সেই কুলশাস্ত্রের সিদ্ধাস্তগুলি মিথ্যা কবি কল্পনা, তাহা প্রমাণস্বরূপ গণ্য হইতে পারে না । ভোজবৰ্দ্ধার তাম্রশাসন হইতে অতগত হওয়া যায় যে, শুামলবৰ্ম্ম সেনবংশীয় নহেন, তিনি যদুবংশজাত, তাহার পিতার নাম বিজয়সেন অথবা তাহার মাতার নাম বিলোলা নহে । দুঃখের বিষয় এই যে,বেলাবো তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইবার পরেও ত্রযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় “কুলগ্রন্থের ঐতিহাসিকতা ও ভোজের নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসন” নামে একটি প্রবন্ধ লিখিয়া কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিক প্রমাণের মৰ্য্যাদা রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । এই প্রবন্ধে বস্থজ মহাশয় বলিয়াছিলেন যে, পূৰ্ব্বে তিনি কুলশাস্ত্রের যে সমস্ত পুথি পাইয়াছিলেন, তাহ ভ্ৰমে পরিপূর্ণ, “সাত নকলে আসল খাস্ত হইয়াছিল।” সম্প্রতি তিনি টালানিবাসী গুরুচরণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাট হইতে একখানি তালপত্রে লিখিত প্রাচীন পুথি পাইয়াছিলেন। ইহা ঈশ্বরকৃত বৈদিক-কুলপঞ্জিকা। “ভারতবর্ষ” পত্রিকায় বস্থজ মহাশয় এই নূতন পুথি হইতে খামলবৰ্খার যে নূতন পরিচয় সংগ্ৰহ করিয়াছেন তাহা অতীব আশ্চৰ্য্য। ১৩১১ বঙ্গাবে বস্থজ মহাশয় ঈশ্বর বৈদিককত কুলপঞ্জিকা হইতে খামলবর্গার যে বংশপরিচয় সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহার সহিত ১৩২ বজাৰে ঈশ্বর বৈদিকের কুলপঞ্জিকা হইতে বহুজ মহাশয় কওঁক, সংগৃহীত খামলবর্গার দ্বিতীয় বংশ-পরিচয় তুলিত হওয়া উচিত : শুামলবৰ্ম্মার প্রথম বংশ-পরিচয় ; – জিবিক্রম মহাৰাজ সেনবংশসমুদ্ভব । । জালীং পরমধর্শ্বজ্ঞ: কাশীপুত্বসমীপত ।